নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ ঘন্টা পের হওয়ার আগেই আরও এক করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের মৃত্যু হল রাজ্যে। সোমবার কোভিড আক্রান্ত ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। শিশির মন্ডল নামে ওই চিকিৎসক কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ছিলেন। উল্লেখ্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকালই রাজ্যের অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা তথা চিকিৎসক বিপ্লব দাশগুপ্তের মৃত্যু হয়েছিল একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার সল্টলেকের আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে এদিন রাত ৮ টায় শিশিরবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে ওই হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে শিশিরবাবুর মৃত্যুর জন্য কোভিডই কারণ কিনা তা এখনও জানায়নি স্বাস্থ্য ভবন। অডিট কমিটির রিপোর্টের পরই তা স্পষ্ট হবে।
শিশিরবাবুর শরীরে যে করোনা পজিটিভ রয়েছে তা ক’দিন আগে জানা যায়। তাঁর শরীরে করোনা সংক্রমণের উপসর্গও দেখা দেয়। তার পর তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১৪ এপ্রিল ভর্তি করা হয়েছিল। ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থান অবনতি হয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে ১৭ তারিখ থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি। প্রায় দশ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
যদিও শিশিরবাবুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে চিকিৎসকদের অনেকের মতে, হতে পারে এমন কোনও রোগীর সংস্পর্শে তিনি এসেছিলেন যাঁর কোনও উপসর্গ ছিল না। চিকিৎসকদের আশঙ্কা এ রকম উপসর্গহীন ব্যক্তি অনেকেই রয়েছে। তাঁদের থেকে সংক্রমণ ছড়ালে টের পাওয়াও মুশকিল। এক মাত্র সোশাল ডিসট্যান্সিং এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখেই এই ধরনের ব্যক্তি থেকে সংক্রমণ ছড়ানো ঝুঁকি অনেকটা রুখে দেওয়া সম্ভব।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনাভাইরাসে আরও কয়েকজন চিকিৎসকের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই আবার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। শুধুই চিকিৎসক নন, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু স্বাস্থ্য কর্মীও। পরপর ২ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু তাই উদ্বেগ বাড়িয়েছে কোভিড যুদ্ধে সামনের সারিতে থাকা স্বাস্থ্য সৈনিকদের মধ্যে ।