নিউজ ডেস্ক: মে ও জুন মাসে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। এতে করে উপকৃত হবে দেশের ৮০ কোটি মানুষ। করোনার উত্তরোত্তর বৃদ্ধির মাঝেই নিঃসন্দেহে কেন্দ্রের একটি বড় ঘোষণা। তবে সেইসঙ্গেই দেশজুড়ে ২ মাস লকডাউনের ইঙ্গিতও দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার।
চিকিৎসক মহলের ব্যাখ্যা যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে সংক্রমণের চেন ভাঙতে সম্পূর্ণ লকডাউন ছাড়া আর কোন পথ এখন অজানা। দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন ভয়ানক। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ বাড়ছে মৃত্যুও ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর৷ এমতাবস্থায় প্রতিদিন শতশত কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় বাতিল হচ্ছে ট্রেন, কমছে মেট্রো। রেল পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হলেও কার্যত অলিখিত লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় রেলওয়েতে।
এই পরিস্থিতিবে বড়সড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে ২ মাস লকডাউনের ইঙ্গিত দিয়ে আগামী মে ও জুন মাসে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’য় বিনামূল্যে দেশবাসীকে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করল। কেন্দ্র জানিয়েছে দেশের ৮০ কোটি গরীব মানুষ রেশন পাবেন বিনামূল্যে। দেশের সমস্ত দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষ মে ও জুন মাসে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য পাবেন। রেশন বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ পড়বে ২৬ হাজার কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে অক্সিজেনের অভাবের প্রসঙ্গ উঠে আসে। মোদি বলেন, অক্সিজেনের ট্যাঙ্কারগুলিকে যাতে দ্রুত হাসপাতালগুলিতে পৌঁছে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, দেশে ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। লাফিয়ে লাফিয়ে দৈনিক সংক্রমণ রোজই আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিচ্ছে। এই অবস্থায় গোটা দেশজুড়েই হাসপাতালের শয্যা সমস্যা ও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব চিন্তা বাড়াচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই দিল্লী তথা দেশের একাধিক হাসপাতাল অক্সিজেনের অভাব নিয়ে ক্রমাগত তাদের আর্তি জানিয়েছে, যে পরিস্থিতি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। করোনা মোকাবেলায় জাতীয় পরিকল্পনা তৈরির জন্য কেন্দ্রকে কড়া নির্দেশ বৃহস্পতিবার দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের জোগান সহ চারটি বিষয় ওই পরিকল্পনায় উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। এরপরেই এদিন তড়িঘড়ি করোনা পরিস্থিত নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী।