নিউজ ডেস্ক: এ যেন লঙ্কা জয়ের আগে বিভীষনের বাড়িতে রামচন্দ্রের আতিথেয়তা গ্রহন! ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রণনীতি সাজাতে ব্যস্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পুনরায় বাংলার মসনদে সার প্রস্তুতি। অপরদিকে পদ্ম শিবিরের বাংলা দেখলে প্রচেষ্টা। মমতা ব্যানার্জীর সরকারকে রাবন রাজার মতই অত্যাচারী সরকার মনে করে রাষ্ট্রপতি শাসনের উপযুক্ত বলে আগেই মনে করেছিলেন অমিত শাহ। এবার সেই রাবনের লঙ্কা জয়ের প্রস্তুতিতে বিভীষনের বাড়ি দিয়েই যাত্রা শুরুর পথে রামভক্ত অমিত শাহের।
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপি প্রস্তুতি কতদূর এগোল সেই কাজ খতিয়ে দেখতে এবং বঙ্গ বিজেপিকে পাঠ পড়াতে বাংলায় পা রাখলেন অমিত শাহ। আগামীকাল বাঁকুড়া দিয়েই ২দিনের বঙ্গ সফর তাঁর। আর সেই বঙ্গ সফরের প্রথম দুপুরেই দলের কর্মী বিভীষনের বাড়িতেই মধ্যাহ্ন ভোজন সারবেন তিনি। স্থির হয়েছে বৃহস্পতিবার আকাশপথে বাঁকুড়ায় যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি যাবেন চতুরডিহি গ্রামে। তাই বুধবার থেকেই চতুরডিহিতে পুলিসি তত্পরতা ছিল চোখে পড়ার মত। বাঁকুড়ায় পৌঁছে সেখানকারই আদিবাসী প্রধান চতুরডিহি গ্রামে বিজেপি কর্মী বিভীষণ হাঁসদার বাড়ীতে কাল মধ্যাহ্নভোজন সারবেন তিনি, তাও পুরোপুরি বাঙালিয়ানায়।
জানা গেছে দুপুরের খাদ্য তালিকায় থাকবে ভাত, ডাল, সবজি আর কড়া করে ভাজা পোস্তর বড়া। শেষ পাতে থাকবে চাটনি। আদিবাসী প্রথা মেনেই কাঁসার থালা, কাঁসার বাটি আর কাঁসার গ্লাসেই তাঁকে দুপুরের আহার পরিবেশন করার জন্য তৈরি হাঁসদা পরিবার। তবে তাঁদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বড়া যেন সাদা তেলেই ভাজা হয়। সদ্য করোনা সহ কঠিন ব্যাধি থেকে সেরে উঠেছেন শাহ। তাই সহজপাচ্য খাবারের ওপর নজর দেওয়া হয়েছে এবং অবশ্যই স্বাস্থ্যকর হয় যেন।
শাহর সফরসূচির অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বাঁকুড়াতে নেমেই প্রথমেই শহর লাগোয়া পুয়াবাগানে বিরসা মুন্ডার মুর্তিতে মালা দিয়ে রবীন্দ্রভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেখান থেকে তিনি যাবেন আদিবাসী প্রধান চতুরডিহি গ্রামে। চতুরডিহি থেকে ফিরে ফের রবীন্দ্রভবনে বৈঠক করবেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।
ওই দিন বিকালেই কলকাতা ফিরবেন। পরের দিন শুক্রবার অর্থাৎ ৬ নভেম্বর সকালে দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। তারপর সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে দলীয় বৈঠক। দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় সহ বাছা বাছা নেতাদের নিয়ে বৈঠক কে জানতে চাইবেন বর্তমান পরিস্থিতি ও লড়াইয়ের প্রস্তুতি। তারপর দুপুরের আহার গৌরাঙ্গনগরে মতুয়া বাড়ীতে। তাৎপর্যপূর্ন ভাবেই শাহের আহার পর্ব গুলির সবটাই অন্তজ পরিবারে। ফলে এর মধ্যেও রাজনীতি খুঁজছে বিরোধীরা। যাকে বলে আহার রাজনীতি।