ওয়েব ডেস্ক : করোনা আবহে বিপুল অঙ্কের বিল নেওয়ার অভিযোগে এর আগে একাধিকবার কাঠগড়ায় উঠেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি। এমনকি দিন কয়েক আগেই স্বাস্থ্য কমিশনের তরফে কলকাতার ৬ বেসরকারি হাসপাতালকে শোকজও করা হয়েছে, কিন্তু তাতেই শিক্ষা নেই। আবারও সেই একই অভিযোগ উঠলো কলকাতার আরও এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়ে গিয়েছে অথচ হাসপাতালের বিল মেটাতে এসে বিপুল অঙ্কের বিল দেখে রীতিমতো হতবাক রোগী পরিবার। ঘটনায় কাঠগড়ায় তেঘড়িয়ার চার্নক হাসপাতাল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগী পরিবারের তরফে শনিবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবক বছর ৩৬ এর বিজয় চৌধুরী দমদমের আর এন গুহ রোডের বাসিন্দা। তিনি গত ১৩ অগাস্ট বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরিবারের সহায়তায় কোনোরকমে প্রাণে বাঁচেন ওই ব্যক্তি। এরপর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে তেঘড়িয়ার চার্নক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী তাঁর করোনা পরীক্ষা হলে দেখা যায় ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। এরপর গত এক মাস যাবৎ ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবারের অভিযোগ, করোনা ধরা পড়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বিশেষ প্যাকেজের কথা বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা আগেই দেওয়া হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রোগীর মৃত্যুর পর একেবারেই উলটো কথা বলছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন ৭ লক্ষ টাকা বিলই দিতে হবে। একই সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের তরফে উঠছে প্রশ্ন। তাদের প্রশ্ন, হাসপাতালের দাবি অনুযায়ী যদি সত্যিই বিজয়বাবু করোনা আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়ে থাকে, তবে তাঁর মৃত্যুর পর হঠাৎ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে কেন? এর আগে তো কোনও করোনা রোগীর ময়নাতদন্ত করা হয়নি৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শনিবার হাসপাতাল চত্বরে পরিবারের তরফে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।