নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্পূর্ণ নতুন এক কাণ্ডে চোখ কপালে উঠেছে আলিপুরদুয়ার জেলা কর্তৃপক্ষের। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কাটিয়ে ঘরে ফিরে কয়েকদিন কাটানোর পর পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে চারজন পরিযায়ী শ্রমিকের। সাধারন করোনা বিধির বাইরে গিয়ে এই ব্যতিক্রমী ঘটনা ধন্দে ফেলেছে জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের। শুধু তাই নয় বিষয়টি সারা রাজ্যের জন্যই দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়ালো।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর,এই চারজনই ভিনরাজ্য থেকে এসেছিলেন।এরপর তাদের জটেশ্বর কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। আগেই তাঁদের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয় কিন্তু ফলাফল আসতে দেরি হচ্ছিল। ইতিমধ্যে ১৪ দিন পের হয়ে যায়। নিয়ম মেনেই কয়েকদিন আগেই বাড়ি আসে তারা। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসলে তড়িঘড়ি তাদেরকে চিকিৎসার জন্য মাটিগাড়া কোভিড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।এছাড়াও সরকারি কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে আক্রান্তদের পরিবারের ২৮ জন সদস্যকে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ফালাকাটা ব্লকের প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন আলিপুরদুয়ারের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ কুমার শর্মা।বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে,আক্রান্তরা যে এলাকাগুলিতে থাকতেন সেই এলাকাগুলিকে আপাতত কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। ওই শ্রমিকরা আক্রান্তই ছিলেন নমুনা সংগ্রহের সময়ে।
কিন্তু সময় মত রিপোর্ট না আসায় তারা বাড়ি ফিরে আসেন। আদতে তারা উপসর্গহীন করোনা পজিটিভ। তাই সাদা চোখে ধরা পড়েনি। সময়মত রিপোর্ট এলে তাঁদের কোয়ারেন্টাইন থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হত। রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় বাড়িতে গেছেন। এখন প্রশ্ন বাড়ির লোকেরা সংক্রমিত কিনা। উল্লেখ্য প্রচুর পরিমানে পরিযায়ী শ্রমিক এক সাথে চলে আসায় করোনা পরীক্ষা গুলিতে প্রচুর বকেয়া পড়ে থাকছে। ফল আসতে আসতে শ্রমিক বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।