নিউজ ডেস্ক: কমিশনের নজরে বীরভূমের কেষ্ট, ভোটের আগেই নজরবন্দি করা হয় অনুব্রত মন্ডলকে। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত ‘নজরবন্দি’করা হল তাকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভিডিওগ্রাফি করা হবে। নজরদারিতে থাকবেন বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু অভিযোগ অনুব্রতের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে, তাই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত। কমিশন সূত্রে খবর, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে থাকবেন একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।
অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করা হবে বলে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া, সোমবারই গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর এক সঙ্গীকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। মঙ্গলবারই তাঁকে হাজিরার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই নিয়েও চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি এদিনই ভার্চুয়াল সভা থেকে বলেন, ‘ডাকলেই যেতে হবে? কেন যাবে? বীরভূমে ২৯শে ভোট, তাই বলছি একদম যাবি না। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হলে যাওয়ার কথা বলবি।’
আর নেত্রীর আদেশ মেনেই মঙ্গলবার কলকাতায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়া এড়িয়ে গেলেন কেষ্ট। মঙ্গলবার অনুব্রত সিবিআই-কে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। তাই এদিন কলকাতায় নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দিতে পারবেন না। তিনি পরে যাবেন। পাশাপাশি, তাঁর এক সহযোগীও, যাকে সিবিআই তলব করেছিল, সূত্রের খবর, তিনিও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত। সুরক্ষার স্বার্থে তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন। তাই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়।
তবে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা এড়িয়ে গেলেও কমিশনের নজরবন্দি হলেন বীরভূমের কেষ্ট। তবে এবিষয়ে অনুব্রত বলেন, “নজরবন্দি মানে তো আমার সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জওয়ানরা থাকবেন। আমি যেখানে যেখানে যাব আমার সঙ্গে তাঁরা যাবেন।“ তবে এই প্রথম নয়, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোট এবং ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়ও অনুব্রত মন্ডলকে নজরবন্দি করে রাখে কমিশন।