নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউন বলবৎ করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ আর শিরোনামে উঠে আসল সেই নন্দীগ্রামই। বিশৃঙ্খল কিছু যুবকদের আক্রমনে পুলিশের একটি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দিনভর উত্তেজনার শেষে পুলিশ তিন যুবককে আটক করেছে বলে জানা গেছে। তবে ঘটনার পর যথেষ্টই আতঙ্ক কাজ করছে পুলিশ কর্মী বিশেষ করে সিভিক ভলেনটিয়ারদের মধ্যে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুরে নন্দীগ্রাম ২ব্লকের রেয়াপাড়া এলাকার জইনপুর আমড়াতলা গ্রামের থেকে খবর আসে যে ওই দুটি গ্রামের সংলগ্ন একটি মাঠে কিছু ছেলে ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলছে। খবর পেয়েই নন্দীগ্রাম থানার অন্তর্গত রেয়াপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা একটি গাড়িতে করে ওই খেলা বন্ধ করতে যায়। কারন নিয়ম অনুযায়ী লকডাউন চলাকালীন ঘরের বাইরে যাওয়া এবং গনজমায়েত করা নিষিদ্ধ।
পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খেলা বন্ধ করে ওই যুবকদের নিজ নিজ ঘরে ফিরে যেতে বললে যুবকরা ফিরতে চায়নি উল্টে কেন পুলিশ তাদের খেলা বন্ধ করতে চাইছে এই নিয়ে দোষারোপ করতে থাকে। যুবকদের ভাল ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পুলিশ আধিকারিকরা তাদের আইনভাঙার দায়ে লক আপে ভরা হবে জানালে উত্তেজিত হয়ে ওঠে বেশ কয়েকজন যুবক। তারা পুলিশ কর্মীদের ঠেলাঠেলি করতে শুরু করে এবং ঘিরে ফেলে। সংখ্যায় কম থাকায় এবং মূল রাস্তা থেকে অনেকটাই ভেতরে হওয়ায় পুলিশ কর্মীরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। উত্তেজিত যুবকের দল পুলিশ কর্মীদের বেশ কিছুটা দুরে সরিয়ে দিয়ে ইট দিয়ে পুলিশের ভ্যানটি ভাঙচুর চালায়।
এদিকে স্থানীয় লোকদের মারফৎ ঘটনার খবর যায় নন্দীগ্রাম থানায়। থানা থেকে পুলিশের একটি বাহিনী চলে আসে ঘটনাস্থলে। স্থানীয় কিছু মানু্ষের সহায়তায় ওই যুবকদের হটিয়ে দিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দেয় পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে তিন যুবককে আটক করে পুলিশ। নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক অজিত কুমার ঝা জানিয়েছেন, ” পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। আমরা ওই তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। প্রয়োজনে ওদের গ্রেপ্তার করা হবে।” ঝা আরও জানিয়েছেন , ” মারন ভাইরাস করোনার সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে গোটা দেশ ও রাজ্য। কয়েকটি বিশৃংখল মানু্ষের জন্য ওই যুদ্ধ ব্যাহত হোক এটা পুলিশ কখনও মেনে নেবেনা।” এদিকে গত কয়েকদিন ধরে লকডাউন বলবৎ করতে পুলিশ যে কঠিন ব্যবস্থা নিয়েছিল, লকডাউন না মানতে চাওয়া মানুষদের লাঠি চার্জ অবধি করা হচ্ছিল। কিন্তু এই উদ্যোগে প্রথম বাধার মুখে পড়তে হল পুলিশকে আর সেখানেও উঠে আসল সেই নন্দীগ্রামেরই নাম।