বিশ্বজিৎ দাস: “এখনই ফেরানো উচিৎ নয়, আগে ছয় মাস তাঁদের অপর নজরদারি চালান হোক,” দলত্যাগীদের মনিটরিংয়ের নিদান দিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বাংলা দখল করতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু হয়নি; পরিবর্তে তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে। বিধানসভা ভোটের আগে টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন,এখন তাঁদের অধিকাংশের গলায় অন্য সুর। সেইসব দলত্যাগীরা নিজেদের ভুল বুঝতে ফের ‘দিদি’র কাছে ফিরতে চাইছেন। এবিষয়ে মুখলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সাফ জানালেন, আগামী ৬ মাস দলে এন্ট্রি পাবেন না কেউ।
সম্প্রতি সোনালী গুহ, সরলা মুর্মু, অমল আচার্যর মতো নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তৃণমূলের তরফে সেভাবে কিছু জানানো হয়নি এ বিষয়ে। ফলে দলত্যাগীরা ফের দলে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিলই। রবিবার এবিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “আমাকে অনেকেই রোজ ফোন করছেন। কিন্তু দলবদলুদের এখনই ঘরে ফেরানো উচিৎ নয় বলেই আমার মনে হয়। এতে যারা দলের জন্য লড়ে গিয়েছেন তাঁদের মনোবল ভেঙে যাবে।“
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বহু পুরনো সৈনিককে টিকিট দেয়নি বরং একাধিক নতুন মুখেই ভরসা রেখেছিল দল। যার ফলে প্রকাশ্যে চলে এসেছিল অন্তর্কলহ। বহু সক্রিয় তথা প্রথম সারির নেতা-কর্মী ফুল বদলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে পরবর্তীকালে তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই টিকিট বদলেও সুবিধা করতে পারেননি। বিজেপিও ভোটে লড়ার সুযোগ দেয়নি তাঁদের। এরপর তৃণমূল বিপুল ভোটে জয় লাভ করার পর অনেকেই তাঁদের ভুল বুঝেছেন।
তবে এইসকল দলবদলুদের জন্য আবার এক স্বীকারোক্তি ফর্মও তৈরি করে ফেলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেই ফর্মে নিজের নাম, বিধানসভা কেন্দ্র, লোকসভা কেন্দ্র লেখার জায়গা আছে। ঠিক তেমনই আবার তারা কী কারণে বেসুরো হয়েছিলেন বা আবার কী কারণেই বা সুরে ফিরতে চাইছেন, তারও বিভিন্ন অপশন দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি তাঁরা নিজেদের ধান্দাবাজ মনে করেন কী না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এই স্বীকারোক্তি ফর্মে।