Homeএখন খবরকমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে বেপাত্তা অনুব্রত, ৩ ঘন্টা পর খোঁজ মিলল তারাপীঠে

কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে বেপাত্তা অনুব্রত, ৩ ঘন্টা পর খোঁজ মিলল তারাপীঠে

নিউজ ডেস্ক: কষ্ট করে অবশেষে মিলল কেষ্টর সন্ধান, দীর্ঘ প্রায় ৩ ঘন্টা পর তারাপীঠে মায়ের মন্দিরে ধরা দিলেন বীরভূমের কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মন্ডল। আর এতক্ষণ ধরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও কমিশনকে যেন কার্যত নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরালেন তিনি।

এক-দু’জন নয়, সূত্রের খবর ৮ জন জওয়ান ছিলেন তাঁর নজরবন্দির দায়িত্বে, সেইসঙ্গেই একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, কিন্তু তারপরেও খেলে দেখিয়ে দিলেন বীরভূমের কেষ্ট। বাহিনীর জওয়ানদের সামনেই বুধবার গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যান, এরপর থেকেই তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পেছনে তাড়া করেও কোনও লাভ হয়নি। বর্তমানে তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেরাচ্ছেন জেলা শাসক থেকে শুরু করে বাহিনীর জওয়ানেরা।

সূত্রের খবর, এদিন অনুব্রত সকাল ১১ টা ৪০ নাগাদ বাড়ি থেকে জেলার বিভিন্ন কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বার হন অনুব্রত। সঙ্গে অন্য একটি গাড়িতে তাঁরই সঙ্গে বের হন ম্যাজিস্ট্রেট ও ৮ জন আধাসেনা। খবর, কিছুদূর গিয়েই হঠাৎ বাহিনীর চোখ এড়িয়ে অনুব্রত মন্ডলের গাড়ি উধাও হয়ে যায়। দলীয় সুত্রে খবর, তিনি প্রথমে নানুরে দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে লাভপুরে দলীয় কার্যালয় এবং সেখান থেকে আমোদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি। তারপর হঠাৎই গাড়ি সমেত নিখোঁজের খবর মেলে।

এরপর থেকেই বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় অনুব্রতকে খুঁজে বেড়াতে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং জেলাশাসক নিজেও। অনুব্রতর খোঁজে বীরভূমের একাধিক থানায় খবরও দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে, সকলের সামনে থেকে উধাও হয়ে গেলেন কি করে তিনি? অবশেষে দুপুর দুটো নাগাদ তারাপীঠ মন্দিরে শেষ হল কমিশনের খোঁজ। তারপর তাঁকে আবারও নজরবন্দি করে কমিশন।

প্রসঙ্গত, বীরভূমে ২৯শে এপ্রিল ভোট, তার আগেই মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত ‘নজরবন্দি’করা হয় অনুব্রত মন্ডলকে। জানা গিয়েছে, বেশ কিছু অভিযোগ অনুব্রতের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে, তাই কমিশনের এই সিদ্ধান্ত। কমিশন সূত্রে খবর, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে থাকবেন একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করা হবে বলে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া, সোমবারই গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর এক সঙ্গীকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। মঙ্গলবারই তাঁকে হাজিরার দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়েও চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি এদিনই ভার্চুয়াল সভা থেকে বলেন, ‘ডাকলেই যেতে হবে? কেন যাবে? বীরভূমে ২৯শে ভোট, তাই বলছি একদম যাবি না। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ হলে যাওয়ার কথা বলবি।’

আর নেত্রীর আদেশ মেনেই মঙ্গলবার কলকাতায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়া এড়িয়ে গেলেন কেষ্ট। তবে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা এড়িয়ে গেলেও কমিশনের নজরবন্দি হলেন বীরভূমের কেষ্ট। তবে এবিষয়ে অনুব্রত বলেন, “নজরবন্দি মানে তো আমার সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জওয়ানরা থাকবেন। আমি যেখানে যেখানে যাব আমার সঙ্গে তাঁরা যাবেন।“ শেষে এও জানিয়েছিলেন, “খেলা হবে”। আর সেই মতই হয়তো এদিন প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে কমিশনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে গেলেন বীরভূমের কেষ্ট।

RELATED ARTICLES

Most Popular