ওয়েব ডেস্ক : তৃণমূলে সিন্ডিকেট রাজত্ব যে বেড়ে চলেছে, এবিষয়ে বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু এর আগে নির্বাচনগুলিতে ভোটের কাজে এই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদেরই কাজে লাগিয়েছে শাসকদল। সোমবার দমদমে এক প্রকাশ্য কর্মীসভায় তা কার্যত মেনে নিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। একই সাথে এদিন সাংসদ দলীয় নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানান, সামনের নির্বাচনে সমস্ত সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই জনসাধারণের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এদিনের বৈঠকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ব্রাত্য বসু পুরপ্রধান হরিন্দর সিং। এছাড়াও দমদম বিধানসভা এলাকার ২৭১টি পার্টের বুথ এজেন্টরাও এদিনের কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন। তবে আচমকা সাংসদের এহেন মন্তব্যে এদিন স্বাভাবিকভাবেই চুপ থাকেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এদিনের সভাতে সৌগতবাবু বলেন, “ইট-বালির ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের মুখগুলো যেন ভোটের সময় সামনে না আসে। মানুষ এই মুখগুলোকে ভালভাবে নেয় না। ভোটের সময় এদের পিছনের সারিতে রেখে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির লোকেদের সামনে রাখতে হবে। এদের বুথে এজেন্ট না করাই ভাল।”
পাশাপাশি, বিধানসভা নির্বাচনে যাতে কোনোভাবেই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ে শাসকদলকে বিরোধীদের তোপের মুখে না পড়তে হয় সেকারণে এদিন সৌগতবাবু দলীয় নেতৃত্বদের পরামর্শ দেন, সিন্ডিকেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা চাইলে দলে থাকতেই পারে। কিন্তু ভোটের সময় তাদের দলীয় কর্মসূচিতে জড়ানোর দরকার নেই। এরা চাইলে দলীয় মিটিং-মিছিলে থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সবার প্রথম সারিতে নয়, বরং পিছনের সারিতে। একই সাথে ভোটের সময় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা যাতে কোনোভাবেই প্রার্থীর আশেপাশে যেন ঘোরাঘুরি না করেন সেদিকেও নজর রাখার কথা বলেছেন।
তবে এদিন সৌগত রায়ের মন্তব্যের পর তাকে কটাক্ষ করে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়,গত ১০ বছরে এ রাজ্যে সিন্ডিকেটের তান্ডব জোড়ালো হওয়ার পর ভোটের আগে দলের স্বচ্ছ মুখকে সামনে আনার কথা মনে পড়েছে সৌগতবাবুর। ভোট মিটলেই ফের দলের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে।