নিজস্ব সংবাদদাতা: তার নাম হতে পারত ঋতু জানা অথবা ঋতু সামন্ত। না পদবী হতে পারত মুখোপাধ্যায়, চ্যাটার্জি কিংবা আরও অনেক কিছু। কিন্তু সে সব না হয়ে এখন তার নাম ঋতু ফার্নান্দেজ। কাগজ কলমে সমস্ত কিছু মেটার পর সোমবার থেকে এই নামই হবে তার পরিচয়। আর এ নামেই সে উড়ে যাবে বার্সিলোনার দেশ স্পেনে। মাত্র ২বছর আগেই সদ্যজাত ঋতুকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে গেছিল কোনও মা। হয়ত বা কুমারী মায়ের লজ্জা অথবা কন্যা সন্তানের বিড়ম্বনায়। এরপর এগরা থানার পুলিশ উদ্ধার করে ভর্তি করেছিল হাসপাতালে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তারপর শিশুকল্যাণ কমিটির নির্দেশে ঠাঁই হয়েছিল কাঁথির ফরিদপুর বিবেকানন্দ লোকশিক্ষা নিকেতনের শিশু হোমে।গত ২ বছর ধরে হোমে বড় হয়ে ওঠা সেই ঋতুই অচেনা বাবা-মায়ের হাত ধরে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
১৭নভেম্বর পাওয়া গেছিল ঋতুকে । তারপর থেকে সেটাই ছিল তার জন্মদিন। রবিবার গেছে সেই দ্বিতীয় জন্মদিন।আর সোমবার নিজের বাবা মাকে পেল ঋতু। স্পেনের সেই ফার্নান্দেজ দম্পতি আইনি প্রক্রিয়া মিটিয়ে এদিন দত্তক নিলেন ঋতুকে। কাঁথি বীরেন্দ্র স্মৃতিসৌধে শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন অনুষ্ঠানে স্পেনের দম্পতি সার্গিও সন্তোষ ফার্নান্দেজ ও মারিয়া দে লোস এঞ্জেলস গার্সিয়া ফার্নান্দেজের হাতে শিশুকন্যা ঋতুকে তুলে দেন কাঁথির মহকুমাশাসক শুভময় ভট্টাচার্য।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আপাতত কয়েকদিন বাবা মার সঙ্গে ঋতু থাকছে কলকাতায়। তারপর দমদম থেকে উড়ে যাবে পাবলো পিকাসোর দেশে। যেখানে বসে গোয়ের্নিকা এঁকেছিলেন পাবলো । প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মাধ্যমে গতবছর ফরিদপুরের হোমের, ঋতুকে দত্তক নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন এই বিদেশি দম্পতি।সরকারি দপ্তরের কর্মী এই দম্পতি নিঃসন্তান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নতুন মেয়েকে পেয়ে এ বার তাঁদের বাবা-মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হল।ঋতুকে কোলে নিয়ে মারিয়া বলেন, “এই আমাদের ভবিষ্যৎ।আমাদের মতো করে মানুষ করে তুলব।” পূর্ব মেদিনীপুরের ইতিহাসে ঋতুকে নিয়ে দ্বিতীয় কোনও শিশুকে বিদেশি দম্পত্তি দত্তক নিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান দিলীপ দাস বলেন, “ওই দম্পতি যে ভাবে এই শিশুকন্যাকে নিজের করে নিলেন, তা প্রশংসনীয় এবং ব্যতিক্রমী।বাচ্চাটি নতুন মা-বাবার কাছে কেমন থাকছে, নিয়ম মেনে সেই রিপোর্ট স্পেনের দত্তক সংস্থা জেলা আদালতের কাছে পাঠাবে।”