ওয়েব ডেস্ক : আগামী বছরেও আদেও কি সম্ভব টোকিও অলিম্পিক আয়োজন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বহু মানুষের মনে। শুধু তাই নয় একই প্রশ্ন উঠে এল অলিম্পিক কমিটির অন্দরমহল থেকেই। কমিটির সদস্য ডিক পাউন্ড স্বীকারই করে নিলেন যে করোনার টিকা আবিষ্কার না হলে ২০২১ এও এই মেগা টুর্নামেন্টের আয়োজন সম্ভব নয়। তবে যদি কোনোভাবেই আগামী বছরেও পরিস্থিতির উন্নতি না হয় সেক্ষেত্রে ২০২২ সালে বেজিংয়ে যে শীতকালীন অলিম্পিক হওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় তৈরি হবে বলেই মনে করছেন ডিক।
জানা গিয়েছে, অলিম্পিকের গত ১২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার ১ বছর পিছিয়ে গিয়েছে টুর্নামেন্ট। গত ৩০ মার্চ টোকিও অলিম্পিকের নয়া দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল আইওসি। সে সময় জানানো হয়েছিল, ২০২১ এর ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে অলিম্পিক এবং তা শেষ হবে ৮ আগস্ট। তবে সেসময় আইওসি-র তরফে এও ঘোষণা করা হয়েছিল যে অলিম্পিকের ক্রীড়াসূচিতে কোনওভাবেই কাটছাঁট করা হবে না। কিন্তু করোনা যেভাবে বিশ্বজুড়ে তার দাপট দেখিয়ে চলেছে, তাতে নতুন করে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
আর ঠিক একবছর পর এই মেগা টুর্নামেন্ট। সুতরাং যদি আর মাস ছ’য়েকের মধ্যে করোনার কোনও টিকা আবিষ্কার না হয় তবে সেক্ষেত্রে আগামী বছরও অলিম্পিক বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে। এবিষয়ে অলিম্পিক কমিটির সদস্য ডিক পাউন্ড বলছিলেন,”যদি আগামী বছর জুলাই আগস্টেও টোকিওতে করোনার সমস্যা থাকে, তাহলে আগামী বছর তো বটেই পরের বছর শীতকালীন অলিম্পিকও বাতিল করতে হবে।”
তবে অলিম্পিক কমিটি মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোনওভাবে গেমসের আয়োজন করা যেতেই পারে৷ প্রয়োজনে টুর্নামেন্টের আকারে কাটছাঁটও করার কথাও ভাবছে জাপানের আয়োজক কমিটি। তবে এবিষয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির বেশ আশাবাদী। তাদের দাবি, ঠিক সময়মতোই অলিম্পিকের মেগা টুর্নামেন্ট করা যাবে। আইওসির প্রধান থমাস বাচ বলেছেন,”অলিম্পিক নিয়ে আমাদের অনেক রকমের ভাবনা আছে। আমরা এখনও দর্শক-সহ গেমসের আয়োজনের কথা ভাবছি। তবে অ্যাথলিট এবং দর্শকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।”