ওয়েব ডেস্ক: দেশজুড়ে প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। সেই সাথে নজিরবিহীন ভাবে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। নতুন করে লকডাউনের পথে হেঁটেও কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না মারণ ভাইরাসকে। এরমধ্যেই বুধবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের সংক্রমণের সংখ্যা দেখে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ করোনা টেস্টের সংখ্যা বাড়লে পজিটিভ কেসও বাড়বে। গত মাসের শেষের দিকেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কমে ক্রমশ সুস্থতার হার বাড়তে শুরু করেছিল। এর জেরে স্বস্তির মুখ দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের রাজ্যে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা আকাশ ছুঁয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে যে তবে কি সে সময় টেস্টের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল? আর টেস্ট না হওয়ার কারণেই আচমকা কমে গিয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা যা আদতে কমেনি বরং বেড়েই চলেছে।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী কয়েকদিন সংক্রমিতের সংখ্যাটা বাড়বে। আগামী দু’মাসে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শিখরে পৌঁছে যাবে। কিন্তু এতে আতঙ্কিত হবেন না। কারণ দেখুন, আগের তুলনায় এখন করোনা টেস্টের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। আগামিদিনে আরও বাড়ানো হবে। কারণ আমরা ট্রেসিং, ট্র্যাকিং আর টেস্টিংয়ের উপর বেশি জোর দিচ্ছি। তবেই তো রোগীকে চিহ্নিত করে তার চিকিৎসা করা যাবে। শুধু রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের বাড়তে থাকা সংখ্যা দেখে শিউরে ওঠার কোনও কারণ নেই। নমুনা পরীক্ষা বাড়বে বলেই সংখ্যা বাড়বে।”
একইসাথে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ফের একবার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ” অনেক সময় বাজার কিংবা অফিস থেকে ভাইরাস বয়ে নিয়ে আসছেন অনেকে। তাই একটু সতর্ক থাকা জরুরি। খেয়াল রাখতে হবে ভাইরাস যে ছড়িয়ে না পড়ে।” পাশাপাশি, এদিন তিনি আরও বলেন, যাদের হোম আইসোলেশন থাকতে অসুবিধা রয়েছে, তাদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে পৃথক আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীরা চাইলে সেখানে থাকতে পারবেন। সেখানে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নিয়মিত চিকিৎসা ব্যবস্থাও রাখা হবে। করোনা নিয়ে কোনও ধন্দ বা প্রশ্ন থাকলে টেলিমেডিসিন অ্যাপের মাধ্যমেই জেনে নেওয়া যাবে। উপসর্গহীন রোগীদের আদৌ হাসপাতালে ভরতি হওয়ার প্রয়োয়াছে কিনা তাও এই অ্যাপের মাধ্যমে বলা যাবে।