ভবানী গিরি: শেষ অবধি খুলে গেল এতদঞ্চলে থাকা একমাত্র ইকো পার্ক। সুবর্নরেখার কোলে এই মনোরম পার্ক খোলার খবরে উল্লাসিত কচিকাঁচার দল।আধুনিক সভ্যতার চাহিদা মেনে নিয়ে সুবর্ণরেখা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে গোপীবল্লভপুরে ২০১৬ সালে প্রশাসনের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ইকো পার্ক।
পার্কটি চালু হওয়ার প্রথম থেকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল, কারণ পার্কে বসে উপভোগ করা যায় সুবর্ণরেখা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।আর অদুরেই রয়েছে শ্রী পাট গোপীবল্লভপুরের ঠাকুরবাড়ির গুপ্ত বৃন্দাবন।তাই একসঙ্গে পার্কে অবসর যাপনের পাশাপাশি পর্যটকরা একাধিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন বলেই গোপীবল্লভপুর ইকো পার্কে ভিড় লেগেই থাকত। কিন্তু সবকিছুর মধ্যে ছন্দ পতন ঘটায় করোনা মহামারি।
লক ডাউন শুরুর আগে থেকেই ১৫ ই মার্চ থেকে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী বন্ধ হয় গোপীবল্লভপুর ইকো পার্ক।এই মুহূর্তে যেহেতু ঝাড়গ্ৰাম জেলায় করোনা সংক্রমনের হার তেমন নেই তাই দীর্ঘ ১০৭ দিন বন্ধ থাকার পর আবার মঙ্গলবার ব্লক প্রশাসনের নির্দেশ সাধারণ পর্যটকের জন্য খুলে দেওয়া হল ইকো পার্ক। এদিন সকাল ১০ টা থেকে উৎপল গিরি এবং গৌরব দলাই এর মতো ইকো পার্কের কর্মীরা পার্ক খুলতেই একে একে মানুষ আসতে শুরু করেছেন।আর পার্ক এর আকর্ষণ বাড়াতে ক’দিন আগে পার্কে আনা হয়েছে নতুন অতিথি একটি পুরুষ ময়ুর। ময়ুরটিকে রাখার জন্য এখনো কোনো আলাদা খাঁচা করা হয়নি, তাই তাকে বর্তমানে রাখা হয়েছে বন্ধ থাকা ক্যান্টিন এর ভেতর।
গোপীবল্লভপুর ইকো পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গৌরাঙ্গ খামরী বলেন- গোপীবল্লভপুর ইকো পার্ক তিন মাসের বেশি সময় পরে খুলেছে ঠিকই, কিন্তু পার্ক এর ভেতরে যাতে কোন রকম জমায়েত না হয় তার জন্য পার্কের কর্মী হিসাবে আমরা সদা সতর্ক। তিনি এও জানান-সরকারি নির্দেশ মতো ভেতরে প্রবেশ করার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
করোনা সন্ক্রমন ঠেকাতে দীর্ঘ লকডাউন আর নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে বসে বসে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। মানুষ। করুন অবস্থা হয়েছিল শিশুদের। ইকো পার্কটি খুলে যাওয়ায় এবার খোলা হওয়ার সন্ধান পাবেন তাঁরা। ফলে পার্ক খোলার খবরে খুশি সবাই। বুধবার থেকেই ফের চেনা ছন্দেই পার্কের ভেতরে ঘোরা ফেরা যাবে এমনটাই আশা সাধারন মানুষের।