নিজস্ব সংবাদদাতা: নজির বিহীন করোনা সন্ক্রমনের শিকার হলেন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের প্রশিক্ষনরত ৪২ জন জওয়ান। সোমবার এঁদের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরই সাথে ব্যারাকপুর থেকে খড়গপুর সালুয়ায় প্রশিক্ষন নিতে আসা ৪০০ জনের মধ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৬ জনে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে কারন সোমবার রাতে আসা রিপোর্টে ৮৩ জনের রিপোর্ট অমীমাংসিত এসেছে যেখান থেকে আরও পজিটিভ রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা প্রবল।
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই ব্যারাকপুর থেকে আসা এই ৪০০জনের ১জন প্রথম করোনা আক্রান্ত হন। এরপর প্রতিদিনই ৬০ জন করে নমুনা সংগ্ৰহ ও পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম দফার ৬০ জনের মধ্যে ৩ জন পজিটিভ আসে। পরের দফায় ফের ৬০ জনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। তৃতীয় দফায় রবিবার ফের ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সবমিলিয়ে এখন দেখা যাচ্ছে মোট ৪৬ জন আক্রান্ত এবং ৮৩ নমুনা অমীমাংসিত।
বর্তমানে এই ৪৬ জনকে কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু মঙ্গলবার নতুন করে সন্ক্রমনের খবর এলে কী করা হবে সেই নিয়ে সংশয়ে পুলিশ কারন জেলার মাত্র ২টি হাসপাতাল শালবনী সুপার স্পেশালিটি ও আয়ুশে ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। সোমবারই নতুন করে জেলার দাসপুর ১, দাসপুর ২, সবং, কোতয়ালি, দাঁতন, চন্দ্রকোনা, খড়গপুর গ্রামীন ও শহরে মোট ২৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে আক্রান্ত ৭০জন।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষন কেন্দ্রেই একটি নতুন করে আইসলেশন ওয়ার্ড গঠন করতে পারে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ এমনটাই জানা গেছে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন, ওখানকার একটি বড় হল ঘর পাওয়া গেছে। সেটাকেই আইসলেশন ওয়ার্ড করার কথা ভাবা হচ্ছে না’হলে হাসপাতাল উপচে পড়বে।
এদিকে মঙ্গলবারও করোনার হাত থেকে রেহাই মেলেনি খড়গপুর শহরের। এদিন গোলবাজার এলাকার এক বৃদ্ধা এবং রেল এলাকার এক আরপিএফ জওয়ানের করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এদিন রাতে ওই আরপিএফ জওয়ানকে পুলিশ চিহ্নিত করলেও রাত ১২টা অবধি বৃদ্ধার সন্ধান পায়নি পুলিশ। ফলে রাতভর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
এদিনই গ্রামীন খড়গপুরের বসন্তপুর এলাকায় আরেক আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে বলে জানা গেছে। পুলিশের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এলাকায় সন্ক্রমনের হার যে ভাবে নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে তাতে নতুন করে হাসপাতাল বা শয্যার সংখ্যা না বাড়ালে করোনা রোগীদের নিয়ে সঙ্কট তৈরি হতে চলেছে।