ওয়েব ডেস্ক : করোনায় সংক্রমিত হয়ে চলে গেলেন হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠাতা তপন ঘোষ। জুন মাসের শেষ থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় পশ্চিমবঙ্গের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বছর ৬৬র তপন ঘোষ। এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই বিভিন্ন মহলের তরফে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব-সহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির নেতা-নেত্রীরা শোকস্তব্ধ প্রকাশ করেছেন।
জানা গিয়েছে, জুন মাসের শেষের দিক থেকেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হিন্দু সংহতির প্রতিষ্ঠাতা তপন ঘোষ। প্রথমদিকে সেভাবে বোঝা না গেলেও ২৮ শে জুন থেকে জ্বর- শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক উপসর্গ তাঁর শরীরে লক্ষ্য করা যায়। এরপরই তড়িঘড়ি ২৯ জুন তাকে কলকাতার মেডিকা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত। তারপর থেকে ওই বেসরকারি হাসাপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। গত ৩-৪ দিন আগে শরীরের সামান্য উন্নতি হলেও রবিবার সন্ধ্যায় ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের যোগ দেন তপন ঘোষ। প্রথম অবস্থায় কলকাতার শ্রদ্ধানন্দ পার্ক শাখার স্বয়ংসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে সেখানকার প্রচারক হন। এরপর একসময় জেলও খাটেন তিনি। কিন্তু তবুও থেমে থাকেননি তিনি। জেল থেকে বেরোনোর পর সংঘের প্রচারক হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সংগঠন সম্পাদকও হয়েছিলেন। এরপর বছর কয়েকপর রাজনীতিতে পা দেওয়ার ইচ্ছায় বিজেপি যোগ দিতে চাইলে সে সময়কার বিজেপি নেতৃত্ব তাকে দলে নিতে রাজি হয়নি। এরপর বেশ কয়েকবছর বিদ্যার্থী পরিষদের দায়িত্ব পালনের পরে ফের হাওড়া ও হুগলি জেলা নিয়ে গঠিত বিভাগের প্রচারক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু সেখানেও ঠাই হয়নি তাঁর৷ সংঘের নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় সেখান থেকে বেরিয়ে শেষ অবধি নিজেই হিন্দু সংহতি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ একাধিক রাজনৈতিক মহল সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।