নিজস্ব সংবাদদাতা : কথা ছিল প্রতিদিন সকালে লাইন দিয়ে প্রশিক্ষনের মাঠে যাবেন। ফ্রি হ্যান্ড, ব্যায়াম, দৌড় ঝাঁপ করার পর সটান যেতে হচ্ছিল চাঁদমারি। এ.কে ফরটিসেভেন, কার্বাইন ইত্যাদি আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিশানা ভেদ করা। কয়েকদিন ধরে এটাই রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের প্রশিক্ষন কেন্দ্র সালুয়াতে। খড়গপুর শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দুরে প্রশিক্ষন রত জওয়ানদের শিবিরে এখন ভাঙা হাট। চুলোয় উঠেছে প্রশিক্ষন, লেফট আর রাইটের বদলে এখন সাত সকালে জওয়ানদের লাইন পড়ছে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের করোনা নমুনা প্রদান কেন্দ্রে।
রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের হেডকোয়ার্টার ব্যারাকপুর থেকে প্রশিক্ষন নিতে আসা চারশ জওয়ানের মধ্যে ১যুবকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছিল বৃহস্পতিবার। তারপরেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল ৪০০জনেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে। সেই মত শুক্রবার ও শনিবার দু’দফায় নমুনা দিয়েছিলেন ৬০ জন করে ১২০ জন যার মধ্যে রবিবার ফের ৩ জওয়ানের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। ফলে সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন অন্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো নমুনা গুলির মধ্যে থেকে ৩জনের যেমন করোনা পজিটিভ এসেছে তেমনই প্রতীক্ষায় রয়েছে ১০৪জনের ফলাফল। ঘোষিত মাত্র ১৬টি ফলের মধ্যে ৩ টি পজিটিভ হওয়ায় দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারন রয়েছে কারন ১০৪ জনের যেমন ফল ঘোষনা বাকি রয়েছে তেমনই ৪০০জনের মধ্যে বড় অংশেরই নমুনা সংগ্ৰহ বাকি রয়েছে। যদি এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তবে জেলার মাত্র ২টি কোভিড হাসপাতালে স্থান সঙ্কুলানে যথেষ্ট সমস্যা হতে পারে।
রবিবার সকালেই সালুয়ার ওই প্রশিক্ষন কেন্দ্র লাগোয়া অঞ্চলে ২টি পৃথক কন্টেনমেন্ট জোন গঠন করেছে পুলিশ। রবিবার শহরে নতুন করে আর করোনা পজিটিভ চিহ্নিত নাহলেও খড়গপুর শহরকে নিয়ে প্রশাসন এতটাই উদ্বেগে রয়েছে যে শহরে বাজারগুলি চালু রাখার সময়সীমা সন্ধ্যা ৭টার পরিবর্তে কমিয়ে বিকাল ৫টা অবধি করা হয়েছে।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট ১৬ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে যেখানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও ডেবরায় নতুন করে সন্ক্রমিত হয়েছেন ১জন। দাঁতন ১, নারায়নগড় ও দাসপুর ১ ব্লকে ২জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। দাসপুর ২ ব্লকে ৫ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।