বিশেষ সংবাদদাতা: বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না রেলকে। এখন যেমন চলছে সেইভাবেই পরিষেবা দেওয়া হবে । কিন্তু 109 টি রুটে চালানো হবে অতিরিক্ত আধুনিক ট্রেন । যার কোনও রকম প্রভাব পড়বে না অন্য কোন ট্রেনের টিকিট বা কোনও কিছুর ওপর ।
রেলের বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে । ভারতীয় রেলকে তুলে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি সংস্থার হাতে বলে যে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক চলছে তার মধ্যেই এই কথা জানিয়েছেন দেশের রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল।
রেলের বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে । 109টি রুটে 151 টি ট্রেন বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে । ওই সব ট্রেনের ভাড়া অনেক বেড়ে যাবে । রেল বেসরকারিকরণের অর্থ হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা সৃষ্টি করা । এই নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয় । দেশের সব কয়টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ট্রেনের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখানো হয় ।
আর
এই আবহের মধ্যেই বার্তা দিলেন রেলমন্ত্রী । তিনি সাফ জানিয়েছেন, বেসরকারি হাতে রেল তুলে দেওয়া হবে না। এখন যেমন চলছে, সেভাবেই চলবে রেল পরিষেবা।
দিন কয়েক আগেই ১০৯টি বেসরকারি রুটে রেল পরিষেবায় বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পরিষেবায় অংশ নিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করতে হত বেসরকারি সংস্থাকে। আগামী 2023 সালের এপ্রিল মাসে র মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলেও জানানো হয় রেলওয়ে বোর্ডের তরফে ।
এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। অনেকেই বলছিলেন রেলের দরজা বেসরকারি হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন
রেলমন্ত্রী পীযুষ গয়াল। রেল মন্ত্রকের অবস্থান স্পষ্ট করে ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “মোটেই বেসরকারি হাতে রেল পরিষেবা তুলে দেওয়া হচ্ছে না। যেমন চলছে তেমনই চলবে রেলের সমস্ত পরিষেবা। ১০৯টি রুটে ১৫১টি অত্যাধুনিক ট্রেন চালানোর কথা ভাবা হয়েছে। যে সব রুটে ট্রেনের চাহিদা বেশি সেখানেই এই সব অতিরিক্ত আধুনিক মানের ট্রেন চালানো হবে। সেখানেই বেসরকারি বিনিয়োগের কথা ভাবা হয়। এই ব্যবস্থা কোনও ভাবেই রেল পরিষেবাকে ব্যহত করবে না। বরং কাজের সুযোগ তৈরি হবে।”
এই প্রথম বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য দরজা খোলা হয়েছে রেলে। ১০৯টি রুটে অত্যাধুনিক ট্রেন চালানোর জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রেল দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই ট্রেনগুলির প্রতিটিতে অন্তত ১৬টি করে কোচ থাকবে। সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে এই ট্রেনগুলি। চাহিদা অনুযায়ী রুট বেছে নেওয়া হবে। দেখা হবে কোনও ভাবেই যাতে রেলের মূল পরিষেবা ব্যহত না হয়। মন্ত্রকের লক্ষ্য, রেলের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক ট্রেন ট্র্যাকে নামানো।
এই সঙ্গে রেল মন্ত্রী জানান যে এর ফলে একদিকে আর্থিক বিকাশ হবে কিন্তু তার ফলে ওই সব ট্রেনের জন্য বর্তমানে চলা ট্রেনের টিকিটে কোনও রকম প্রভাব পড়বে না।
রেল মন্ত্রী যে ট্যুইট করেছেন তাতে একবারেই যে বেসরকারি সংস্থার হাতে ট্রেন তুলে দেওয়া হবে না তার স্পষ্ট করে বলা হয় নি বলেই জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতারা। তারা জানিয়েছে যে কোনও পরিস্থিতিতেই কোনও ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে দেওয়া হবে না ।