নরেশ জানা: ভয়ানক তথ্য উঠে এসেছে একটি গবেষনায়, যেখানে বলা হচ্ছে কোভিড ১৯ য়ের টিকা না আবিষ্কৃত হলে ২০২১ সালে প্রতিদিনই ২.৮৭লক্ষ ভারতীয় করোনা আক্রান্ত হবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থিত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা এমআইটি এই গবেষনাপত্র প্রকাশ করেছে সম্প্রতি। গবেষনায় বলা হচ্ছে এই ভয়াবহ অতিমারির প্রকোপ ভেতরে ভেতরে এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে প্রতিষেধক হীন ১৩০কোটির দেশকে ২০২১ সালের শীতের শেষে এই ভয়ঙ্কর দৃশ্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এবং ভারত হবে করোনা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশ।
এমআইটির ‘স্লোয়ান স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট’য়ের উদ্যোগে এই গবেষনায় অংশ নিয়েছিলেন হাজির রহমান্দাদ, টি.ওয়াই লিম এবং জন স্টের ম্যান যাঁদের উদ্দেশ্য ছিল প্রতিষেধক হীন বিশ্বের দেশ গুলিতে করোনার প্রভাব কী হতে পারে? যেখানে তাঁরা লক্ষ্য করেছেন ওই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৯৫.৪০০, দক্ষিন আফ্রিকা ২৬.৬০০, ইরান ১৭ হাজার, ইন্দোনেশিয়া ১৩.২০০, ইংল্যান্ড ৪. ২০০, নাইজেরিয়া ও তুর্ক ৪হাজার, ফ্রান্স ৩.৩০০ এবং জার্মানি প্রতিদিন ৩০০০ আক্রান্তের সম্মুখীন হতে চলেছে যদি না সময়ের মধ্যে করোনার টিকা আবিস্কার না হয়।
অত্যন্ত মারাত্মক তথ্য হাজির করে ওই গবেষনাপত্রে দাবি করা হয়েছে কোভিড প্রতিষেধক হীন বিশ্বকে আগামী বছরের বসন্তকালের মধ্যে ২৪.৯ কোটি বা ২৪৯মিলিয়ন আক্রান্ত এবং ১৭.৫ লক্ষ মৃত্যু দেখতে হতে পারে। এই গবেষনায় বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্বের নীতিকে বজায় রাখলে, জনগন স্বেচ্ছায় এবং সরকারের উদ্যোগে এই ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে পারে কারন সন্ক্রমন প্রবন এলাকায় বেশি বেশি পরীক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব সন্ক্রমনের হার কমাতে পারে।
এই গবেষণায় সন্দেহভাজন আক্রান্ত, প্রমানিত আক্রান্ত, সন্ক্রমনের হার এবং আরোগ্য এই চারটি ক্ষেত্রকে ধরে বিচার করা হয়েছিল। এম.আই.টির গবেষকরা সাহায্য নিয়েছিলেন গানিতিক পদ্ধতি যা কিনা মহামারী বিশেষজ্ঞরা বিশ্লেষণ করেছেন। তিনটি প্রধান পদ্ধতি এই গবেষনায় বিশ্লেষন করা হয়। ১.বর্তমান করোনা পরীক্ষার হার ও ফলাফল, ২. যদি এই পরীক্ষার হার প্রতিদিন ০.১ শতাংশ হারে বাড়ানো হয় তবে জুলাই মাসে এর কী ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে ৩. বর্তমান পরীক্ষার হার যদি একই থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে মোটামুটি ৮ জনের সন্ক্রমনের সম্ভবনা থাকে সেটা ধরে নিয়ে।
বিশ্বের ৮৪টি দেশ যারা কিনা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০% বা ৪.৭৫ বিলিয়ন মানুষকে নিয়ে রয়েছে সেখানকার ওপর ভিত্তি করেই এই গবেষনার কাজ করা হয়। উল্লেখ্য জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে বুধবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১.৭ মিলিয়ন যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে কোটি আর ৫ লক্ষ ৪৩হাজার।