ওয়েব ডেস্ক : ৮ ই জুন থেকে খুলে গিয়েছে কলকাতার সরকারি-বেসরকারি অফিস৷ সরকারের তরফে সরকারি বাস পরিষেবা বাড়ানো হলেও ভাড়া না বাড়ালে রাস্তায় নামতে নারাজ বেসরকারি বাস। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের তরফে মাস খানেক আগেই বাসগুলিকে ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেসময় বিরোধীদের কার্যত পাত্তা না দিয়ে রাস্তায় বেশী পরিমাণ সরকারি বাস নামানোর ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেক্ষেত্রে রাস্তায় দেখা গিয়েছে বাস না পেয়ে রীতিমতো বাদুর ঝোলা হয়ে অফিস যাচ্ছেন কর্মীরা। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অবশেষে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামাতে বিরোধীদের পরামর্শ মেনে শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে ভর্তুকির কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সাথে শর্তাবলী মানলে ১ জুলাই থেকে মেট্রো চালানোরও প্রস্তাব দিলেন তিনি। তবে বিরোধীদের পরামর্শে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি নতিস্বীকার বলেই মনে করছেন অনেকে।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে জানান, লকডাউনের মধ্যেই জ্বালানির দাম ক্রমশ বাড়ছে। এর জেরে বাস চালিয়ে লাভ করতে পারছেন না, বরং ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাসমালিকরা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে কোনোভাবেই বাসের ভাড়া বাড়ানো সম্ভব না। তাই ৬,০০০ বাসের মধ্যে মাত্র ২,৫০০ বেসরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে। ফলে সমস্ত বাস রাস্তায় নামাতে আগামী তিনমাস অর্থাৎ জুলাই, অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর বাসপিছু ১৫,০০০ টাকা করে প্রতিটি বেসরকারি বাসকে ভর্তুকি দেবে সরকার। সেই সাথে বেসরকারি বাসের চালক ও কনডাক্টরদের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এর ফলে যদি কোনোভাবে বাস ড্রাইভার কিংবা কন্ডাকটর অসুস্থ হন তবে তাঁর চিকিৎসা হবে বিনামূল্যে।
পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যত সিট তত যাত্রী নিয়ে মেট্রো চালাতে আগ্রহী হন মেট্রো কর্তৃপক্ষ সেক্ষেত্রে ১লা জুলাই থেকে মেট্রো চালাতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা নিয়েই ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গত বুধবার সর্বদল বৈঠকের পর নবান্নে মমতা জানিয়েছিলেন জুলাই মাসে লোকাল ট্রেন বা মেট্রো চালানোর পরিকল্পনা নেই সরকারের। এই ঘোষণা করার মাত্র ২ দিনের মধ্যেই ফের কেন আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর মত বদলে গেল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিরোধীদের অন্দরে।