ওয়েব ডেস্ক : দীর্ঘ লকডাউনের পর আনলক ১ এর হাত ধরে সচল হচ্ছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। কিন্তু সংক্রমণ এড়াতে এখনই খুলছে না ট্রেন -মেট্রো বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে অফিস যেতে দীর্ঘক্ষণ বাসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছেন সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ আবার ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল চালিয়েই যাচ্ছে অফিস। কিন্তু যেহেতু কলকাতার রাস্তায় এতদিন সাইকেল চালানোর অনুমতি ছিল না ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাস কিংবা অন্যান্য গাড়ি যথেষ্ট জোরেই চলাচল করে। ফলে একসাথে এতগুলি সাইকেল মেইন রাস্তা দিয়ে চললে যখন তখন দুর্ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ ফলে এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার তরফে পশ্চিমের শহরগুলির মতো কলকাতায় বিশেষ সাইকেল লেন করা যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এবিষয়ে পুরসভার বর্তমান প্রশাসক ও পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ইতিমধ্যেই দিল্লির একটি সংস্থাকে কলকাতার রাস্তায় সাইকেল লেন চালু করা নিয়ে প্রজেক্ট রিপোর্ট বানানোর কাজ দেওয়া হয়েছে। সংস্থা রিপোর্টটি তৈরি করে সেটি ৬ মাসের মধ্যে কেএমডিএ-কে জমা দেবে। কলকাতার জনবহুল রাস্তায় কীভাবে সাইকেল চালানো যাবে সেই বিষয়টি সবিস্তারে খতিয়ে দেখবে এই সংস্থা। এবিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন,” সাইকেল সবচেয়ে সস্তা ও পরিবেশবন্ধু যান চলাচলের মাধ্যম।”
তবে ইতিমধ্যেই নিউটাউন-রাজারহাটে ২৯ কিলোমিটার লম্বা সাইকেল লেন রয়েছে। এবার সেই রাস্তার মতোই একই রাস্তা কলকাতায় চালু করতে আগ্রহী পুরসভা। লকডাউন খোলার পর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকদের বেশি করে সাইকেল চালানোর জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন। নাগরিকরা যাতে সংক্রমণ এড়িয়ে লকডাউনের মধ্যে সহজেই অফিস পৌঁছাতে পারে সেজন্য ইতিমধ্যেই বড় রাস্তায় সাইকেল চালানো সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করেছে রাজ্য সরকার।