ওয়েব ডেস্ক : খুবই খারাপ খবর, এবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন খোদ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যে ক্রমশ আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক,পুলিশকর্মী, মন্ত্রী সহ প্রথম সারির ওয়ার্কাররা। এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন মালদা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জেলাগুলির প্রথম সারির সেনাপতি এঁরাই। এই যুদ্ধের কৌশল, প্রকৌশল এঁরাই রচনা করেন।করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জেলাগুলির প্রথম সারির সেনাপতি এঁরাই। এই যুদ্ধের কৌশল, প্রকৌশল এঁরাই রচনা করেন। স্বাভাবিক ভাবেই একজন সামনের সারির যোদ্ধা যদি নিজেই শত্রুর কব্জায় চলে যান তবে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে অনেকটাই তাই হয়েছে। শুরুর দিকে জেলায় করোনা সংক্রমনের হার কম থাকলেও পরের দিকে তা দ্রুত লয়ে বেড়েছে। সেই অবস্থায় এই দুঃসংবাদ।
কয়েকদিন থেকে তাঁর জ্বর, কাশী জাতীয় উপসর্গ থাকায় শনিবার তাঁর করোনা পরীক্ষার হয় এবং তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর থেকেই মালদা জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গত কয়েকদিনে কারা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের ইতিমধ্যেই খোঁজ করা হচ্ছে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মালদায় ২ জন শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ল। শুক্রবারই মালদা জেলার এক উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
ওই মুখ্য স্বাস্থ্যকর্তার লালারস পরীক্ষার পর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে জেনে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মালদার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এরপর তাঁকে বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এপ্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। এদিকে তাঁর সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের প্রত্যেককে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। তাদের চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ চলছে। তবে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সংক্রমণের খবরে চিন্তিত জেলার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশ। তাঁদের অনেকেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সংস্পর্শে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত হচ্ছেন জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকরা। ফলে রাজ্য সরকারের কাছে এটি বাড়তি চিন্তার ব্যাপার। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, মালদা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের করোনা ধরা পড়ার পর তাকে আচমকা মালদা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হল কেন? স্বাস্থ্য দফতরের দাবি অনুযায়ী, রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় করোনা চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেক্ষেত্রে মুখ্য আধিকারিকের চিকিৎসা মালদা বেসরকারি হাসাপাতালেও হতে পারতো, কিন্তু তার এভাবে কলকাতায় চিকিৎসা করতে আসায় সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে, তবে কি জেলার হাসপাতালগুলি কলকাতার স্বাস্থ্যব্যবস্থার তুলনায় করোনা মোকাবিলায় ততটাও ভালো নয়, উঠছে নানা প্রশ্ন।