ওয়েব ডেস্ক : দেশে করোনা সংক্রমণের জেরে গত মার্চে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আইসিএসসি ও আইএসসি পরীক্ষা। আইসিএসসি ও আইএসসি বোর্ডের তরফে জানানো হয়, এই পরিস্থিতিতে আইসিএসসি ও আইএসসি-র বাকি পরীক্ষাগুলি দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। পরীক্ষার্থীরা প্রয়োজনে পরীক্ষা নাও দিতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যে কলকাতার সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইসিএসসি ও আইএসসি-র বকেয়া পরীক্ষাগুলি দিতে গেলে পরীক্ষার্থীদের জমা দিতে হবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। যদি সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তবেই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। স্কুলের এমন অদ্ভুত নির্দেশিকা ঘিরে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
আইসিএসসি ও আইএসসি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুলগুলিকে আগামী ২ – ১২ জুলাইয়ের মধ্যে আইসিএসসি-র এবং ১ – ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে আইএসসি-র বকেয়া পরীক্ষাগুলি নিয়ে নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য জোর করা যাবে না৷ যদি কোনো পরীক্ষার্থী এই পরিস্থিতিতে স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে না চায় সেক্ষেত্রে, টেস্টের নম্বর অনুসারে তার মার্কশিট তৈরি হবে। এক্ষেত্রের কলকাতার এই বেসরকারি চার্চ স্কুলটির তরফে জানানো হয়েছে, পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক কিনা তা ১৯ জুনের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। যদি তারা পরীক্ষা দিতে চায় তবে সেক্ষেত্রে ২৫ জুনের মধ্যে স্কুলে তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হবে। যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে তবেই মিলবে পরীক্ষা দেওয়ার ছাড়পত্র।
কেন্দ্রের তরফে পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এধরণের কোনো নির্দেশিকাই জারি করা হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতার সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই অবিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে৷ অভিভাবকদের অভিযোগ, একেই দীর্ঘ দিন যাবত বকেয়া পরীক্ষাগুলি না হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে একটা চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পড়ুয়াদের করোনা পরীক্ষার পরই পরীক্ষায় বসতে যাওয়ার সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক আশঙ্কায় পড়ে গিয়েছে পরীক্ষার্থীরা৷ করোনা পরীক্ষা পর যদি রিপোর্ট পজিটিভ আসে সেই ভয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্কিত বেশ কিছু পড়ুয়া। এর জেরে একদিকে করোনা আতঙ্ক অন্যদিকে, পরীক্ষার চিন্তা, দুইয়ের মাঝে মানসিক অবসাদে ভুগছেন পড়ুয়ারা৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা সেন্ট অগাস্টিন ডে কলেজের এমন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট অভিভাবকেরা।