ওয়েব ডেস্ক : করোনা সংক্রমণের জেরে ২৪ মার্চ থেকে চলছিল লকডাউন। দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত সোমবারই থেকেই পুনরায় শুরু হয়েছিল নগর দায়রা আদালত ও ব্যাঙ্কশাল আদালতের কাজ। কিন্তু ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই বিপত্তি। ব্যাঙ্কশাল আদালতে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের এর কর্মীর করোনা পজেটিভ হওয়ায় ৩০ শে জুন পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হল দুই আদালতকে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতের গেট দিয়ে প্রবেশের সময় সকলের থার্মাল স্ক্রিনিং এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে ২ নম্বর গেটে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের এক কর্মীর শরীরে তাপমাত্রা ধরা পড়ে। এমনকি তার মধ্যে করোনার বেশ কিছু উপসর্গও লক্ষ্য করা যায়। এরপর দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবারই ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। বুধবার সকালেই তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর ২ আদালতের আইনজীবীদের মোট পাঁচটি সংগঠন বৈঠকে বসে এবং বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৩০ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র পুলিশ হেফাজতের জন্য বিশেষ কোর্ট ছাড়া দুই আদালতেই এজলাস বন্ধ থাকবে।
এবিষয়ে এক আইনজীবী জানান,” স্বাস্থ্যবিধি মেনে আড়াই মাস পর আদালত সচলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল কিন্তু যেহেতু আদালত চত্বরেই এক কর্মীর করোনা ধরা পড়েছে সেহেতু ১৪ দিনের জন্য দুই আদালতেই এজলাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এবিষয়ে আইনজীবী অমরনাথ আগরওয়াল জানান, ” দুই আদালত চত্বরের অনেক ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ওই সিএমএম কোর্ট স্টাফ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তা আর রোখা যাবে না। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঁচটি বার অ্যাসোসিয়েশন। ১ জুলাই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এই পরিস্থিতিতে এমনিতেই আদালত গুলিতে খুব নিয়ন্ত্রিতভাবে সামান্য সংখ্যায় মামলা ফাইল হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্ট বারের তরফেও সরকার লকডাউন না তোলা পর্যন্ত আদালত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আদালতও ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখায় স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত বেশকিছু আইনজীবী এবং ক্লার্কদের।