ওয়েব ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের ফলে বাড়ি থেকে বেরোনোর জো নেই। এর জেরে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে বহু ছাত্রছাত্রীর। এই পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়ারিং আর প্রযুক্তির বিভিন্ন কোর্স সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করার সুযোগ দিচ্ছে আইআইটি খড়গপুর। এই কোর্সের মাধ্যমে মূলতঃ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বেশ খানিকটা উপকৃত হবেন। কোর্সটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন আইআইটি খড়গপুরের অধ্যাপক তথা খড়গপুর আইইইই-র বর্ষীয়ান সদস্য ড: প্রবীর কুমার বিশ্বাস। তিনি খড়গপুর আইআইটি থেকে ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিটেক অনার্স, এমটেক এবং পিএইচডি করেছেন। এছাড়া তিনি ২০০৮ সালে খড়গপুর আইইইই-র চেয়ারম্যান ছিলেন।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে এই কোর্সটিতে কী শেখানো হবে?
তিন মাসের এই কোর্সে ডিপ লার্নিং এর সঙ্গে প্রাথমিক পরিচয় করানো হবে। এরপর ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীদের বায়সিয়ান লার্নিং, ডিসিশান সারফেস, লিনিয়ার ক্লাসিফায়ার, অপ্টিমাইজেশন টেকনিক, গ্রেডিয়েনট ডিসেন্ট, ব্যাচ অপ্টিমাইজেশন, ইন্ত্রফাকশন টু নিউরাল নেটওয়ার্ক, মাল্টিলেয়ার পার্সেপট্রন, ব্যাক প্রপাগেশন লার্নিং, অটো এনকোডারস, কনভলিউশনাল নিউরাল নেটওয়ার্কস,বিল্ডিং ব্লকস অফ সিএনএন, ট্রান্সফার লার্নিং এর মতো মডার্ন ডিপ লার্নিং আর্কিটেকচার সম্পর্কে শেখানো হবে। মূলতঃ লিনিয়ার অ্যালজেব্রা ডিএহসপি এবং পিডিই সম্পর্কে জ্ঞান থাকা শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই কোর্সটি উপযুক্ত হবে৷
কোর্সটির মেয়াদ ২০ জুলাই ২০২০ থেকে ৯ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত। যে সকল শিক্ষার্থীরা এই কোর্সটি করতে ইচ্ছুক তাঁদের ২৭ জুলাইয়ের আগে আবেদন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আইআইটি খড়গপুর এবং এনপিটিইএল এর লোগো সহ ই-শংসাপত্রটি অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের ১,০০০ টাকা দিতে হবে এবং ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর পরীক্ষা দিতে হবে। কোর্সটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এনপিটিইএল এর ওয়েবসাইটে। এনপিটিইএল ওয়েবসাইট বলছে , এই কোর্স শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের জন্য এই ডিপ লার্নিং টেকনিকের জ্ঞান প্রয়োগ করতে পারবে।