ওয়েব ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে দেশজুড়ে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই এক এক করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর জেরে আদেও এই বছর স্কুল খুলবে কিনা, কীভাবে শেষ হবে সিলেবাস তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চিন্তিত পড়ুয়া-অভিভাবক সকলেই। তার ওপর এরাজ্যে এখনও পর্যন্ত বাকী রয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা। দু’বার পরীক্ষা সূচী বদলের পর তৃতীয়বার ফের সূচী বদল হবে কিনা তা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। এত কিছুর মাঝে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর একটি সিদ্ধান্তে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে তামিলনাড়ুতে। তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে এই বছর দশম-একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের পরীক্ষা ছাড়াই পাশ করিয়ে দেওয়া হবে।
করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের ফলে এতদিন তামিলনাড়ুর দশম ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছিল। দিন দিন দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। ফলে এই অবস্থায় এখনই স্কুল-কলেজ খুলতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী এডাপ্পাডি কে পালানিস্বামী। এই কারনেই এই ধরণের বিকল্প সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিলনাড়ু সরকার৷ মঙ্গলবার তার সিদ্ধান্তের কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়েও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না। দশম-একাদশ শ্রেনীর সব ছাত্রছাত্রীদের পরের শ্রেনীতে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হবে।”
তবে কিসের ওপর ভিত্তি করে নম্বর দেওয়া হবে পড়ুয়াদের? এ বিষয়ে তামিলনাড়ু শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, স্কুলের ত্রৈমাসিক ও ষান্মাসিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করেই দেওয়া হবে ৮০% নম্বর। বাকি ২০% নম্বর দেওয়া হবে স্কুল বন্ধ হওয়ার দিন পর্যন্ত স্কুলে হাজিরার উপর। তবে, শুধু দশম-একাদশ শ্রেণি নয় তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত বাকি দ্বাদশ শ্রেণীর সিদ্ধান্ত হলেও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। শীঘ্রই এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত অনেকেরই না পসন্দ। তাদের দাবি, যদি এইভাবে পরীক্ষা ছাড়াই পড়ুয়াদের পাশ করিয়ে দেওয়া হয় তবে উপযুক্ত মেধার বিচার করা হবে না। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ও তুলেছেন বহু মানুষ। কিন্তু একদিক থেকে দেখতে গেলে যেভাবে বাড়ছে সংক্রমণ তাতে এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং মেনে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া খুবই কঠিন।