ওয়েব ডেস্ক : ভারত ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। বাদ পড়েনি পরশী দেশ বাংলাদেশও৷ ভারতের পাশাপাশি ইতিমধ্যে সেখানেও উঠে গিয়েছে লকডাউন। খুলেছে দোকান-বাজার। ফলে ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সাথে প্রতিদিন মৃতের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮২৮ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার পার করেছে। সেই সাথে গত একদিনে সংক্রমণের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ জন।
ঢাকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে গত একদিনে বাংলাদেশে মোট ১৪ হাজার ৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২ হাজার ৮২৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮১১ জন। এ পর্যন্ত সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০ হাজার ৩৯১ জন। পাশাপাশি আক্রান্ত ও মৃতের নিরিখে বাংলাদেশে সুস্থতার হারও চোখে পরবার মতো। এদেশে গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৪৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮০৪ জন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিকর্তার তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল গোটা দেশে ১২ হাজার ৬৯৪ জনের পরীক্ষা করা হয়েছিল, রিপোর্টে দেখা গিয়েছে মোট আক্রান্তের বেশিরভাগই ২১-৩০ বছর বয়সী ছেলেমেয়ে। ফলে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই বয়সী ছেলেমেয়েদের পরিবারের লোকেদের কথা ভেবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ খুব ছোট্ট একটি দেশ। আমাদের দেশে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পরই সম্ভবত সে দেশে লকডাউন চালু হয়েছিল। লকডাউনের প্রথমদিকে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু আচমকা সরকারের তরফে লকডাউন তুলে দেওয়ার পর পরই যত বিপত্তি শুরু হয়। এরপর থেকে ক্রমশই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের মতো ছোটো একটি দেশে লকডাউন তুলে দেওয়ার পর যদি এভাবে লাগাম ছাড়া ভাবে দিনের পর দিন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে থাকে তবে ভারতের মত ১৩০ কোটির দেশ, যেখানে অফিস, রেস্তোরাঁ-শপিং মল, ধর্মীয় স্থানের মতো জায়গাগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করে কি নিমেষেই ছড়িয়ে পড়তে পারবে না করোনা?? এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে দেশবাসীর একাংশকে।