ওয়েব ডেস্ক : কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হাতছাড়া করতে রাজি নয় বিসিসিআই। তাছাড়া তাদের মতে এর সঙ্গে জড়িত ক্রিকেটার ছাড়াও আরও অনেকের জীবন জীবিকা। অবশ্য তারও চেয়ে বড় কথা দেশ বহুজাতিক সংস্থাগুলির হাজার হাজার কোটি ডলারের বিপনন জড়িয়ে রয়েছে এই খেলাটির মধ্যে ফলে তাদেরও চাপ রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের এই সর্বোচ্চ সংস্থাটির ওপর। আর সব মিলিয়ে করোনা আবহের মধ্যেই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ বা আইপিএল করতে তারা উঠে পড়ে লেগেছ এমনটাই জানা যাচ্ছে। কিন্তু দেশ ব্যাপী করোনার আবহের মধ্যে এই বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিসিসিআই এর অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে। অনিশ্চয়তা এখনও কাটেনি। তাদের ধারণা যদি সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে
আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী উড়ান পরিষেবা শুরু হয়ে যায় তবে দেশের বাইরে আইপিএল আয়োজনে আর বাধা থাকছে না। অন্যদিকে তা সম্ভব না হলে বিদেশের কোনও করোনা নিষেধাজ্ঞা নেই এমন জায়াগাকেও বেছে নিতে পারেন তাঁরা গত কয়েক দিন ধরে এমনই জল্পনা তুঙ্গে।
শোনা যাচ্ছে বোর্ডের ৫ সদস্যের মধ্যে ৩ জনই চাইছে দেশের মাটিতেই হোক আইপিএল। দুজনের অবশ্য মত এবছর বিদেশেই হোক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত একমত হতে পারেননি আইপিএল নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ৫ সদস্য। তবে কোন তিন সদস্য দেশের মাটিতে আইপিএল চাইছেন আর কারাই বা চাইছেন বিদেশে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি বিসিসি।
এবিষয়ে এক বোর্ড কর্তা বলেন, “দেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজনের ক্ষেত্রে সাধারণ যুক্তি হল, তাতে দেশের মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তা যাবে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেওয়া যাবে। তাছাড়া আমাদের বিদেশ যাত্রাও করতে হবে না এবং নতুন কোনও নির্দেশিকাও জারি করতে হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “অন্যদিকে, অন্য দু’জনের মত, যে কোনওভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজনই এই মুহূর্তে গুরুত্ব পাওয়া উচিত। তাতে যদি বিদেশে আইপিএল আয়োজন করতে হয়, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিত নয়।” ফলে এবছর ঘরের মাঠেই কি টুর্নামেন্ট আয়োজিত হতে চলেছে নাকি বিদেশেই অনুষ্ঠিত হবে না নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ইতিমধ্যে জল্পনা তুঙ্গে।