নিজস্ব সংবাদদাতা: ইস্পাত কারখানা করার নামে কৃষক আর সরকারের জমি নিয়ে করেছে সিমেন্ট কারখানা। ভঙ্গ করেছে জমিদাতাদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। সেই জিন্দালদের হাতেই সরকারি অর্থে তৈরি হওয়া জনগনের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তুলে দিয়েছিল সরকার। আর যথারীতি প্রবঞ্চনা এখানেও। কাজ করেও ২মাস ধরে বেতন পায়নি কর্মচারীরা এমনকি চিকিৎসক নার্সদের একাংশ। এদিকে জেলায় করোনা সংক্রমনের হার বাড়ছে। বড়মা, আয়ুস কিংবা গ্লোকাল হাসপাতালে কুলোচ্ছেনা তাই নতুন করে শালবনীর ওই হাসপাতালকে অধিগ্রহণ করছে সরকার। শনিবার সেই অধিগ্রহণ পর্বেই জোরালো বিক্ষোভ দেখালেন হাসপাতালের কর্মীরা।
রবিবার কয়েকশ কর্মী যার মধ্যে রয়েছেন কর্মরত নার্স, স্বাস্থ্য ট্যাকনিশিয়ান, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মচারী এবং নিরপত্তা কর্মী তাদের বকেয়া বেতন মেটানোর দাবী নিয়ে এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হোন। জিন্দাল গোষ্ঠী সহ রাজ্য প্রসাশনকে জানিয়েও তাদের বকেয়া বেতন না পাওয়ায় এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হয় বলে জানানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, গত ২ মাসের মাস মাইনে এবং তার আগে আরো দুই মাসের অর্ধেক মাইনে বকেয়া রেখেছে জিন্দাল গোষ্ঠী। লকডাউন সময়ে এমন কারনে কর্মীদের আর সংসার চলছে না। এদিকে কয়েক হাজার একর জমিতে ইস্পাদ কারখানার নামে সিনেন্ট কারখানা আর তার সাথে বিশাল পড়ে থাকা ফাঁকা জমিতে কলা, আনারস চাষ হচ্ছে। অথচ কর্মীদের নিয়ম মাফিক বেতন দেওয়া, এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেনা জিন্দালরা।
কর্মীদের দাবি তিন দিন আগেই আউট ডোর বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাধারন রোগীদের সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হলেও বেতনের ব্যাপার নিয়ে মুখ খুলেছেনা সরকার ও জিন্দালরা। হাসপাতালটি কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছে কিন্তু কর্মীদের সেই ধরনের পোশাক সহ নিরাপত্তার বিষয়টিতে চরমতম দূর্বলতা ও অবহেলা।জিন্দাল গোষ্ঠীও বকেয়া বেতন নিয়ে কোনো কথা বলছেন না। বিক্ষোভ চলাকালীন এদিন কর্মীরা তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয় জরুরি বিভাগ।
হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ চলাকালিন উপস্থিত হয় শালবনী থানার পুলিশ। সেই সময় উপস্থিত হয় ক্যান্টিন পরিযেবা ও হাসপাতালে ঔষধ জোগান দেন এমন দুই সংস্থার লোক। দুজনে মিলে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা পাবেন জিন্দাল গোষ্ঠীর কাছ থেকে।
ফলে ক্যান্টিন চালু রাখা আর প্রয়োজনীয় ঔষধ সময় মতো পৌছানো আর সম্ভর হচ্ছেনা বলে তারাও বিক্ষোভে সামিল হোন। পুলিশ জরুরি বিভাগ ফের চালু করলেও এখনও সমাধান হয়নি মূল সমস্যার। ক্ষিপ্ত কর্মীরা এদিন জিন্দাল দূর হটো বলে শ্লোগান দিয়েছে। জিন্দাল গোষ্ঠীর ওপর ক্রমশ এলাকায় ক্ষোভ বাড়ছে।