কড়াই পনির ও তন্দুরি রুটি
সুজাতা বন্দোপাধ্যায়
লকডাউন উঠে গেছে ।খুলে গেছে হোটেল রেস্তোরাঁ কিন্তু আমরা চাইব এখুনি রেঁস্তোরায় না যেতে। কারণ করোনা সংক্রামণের আশঙ্কা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তা’বলে কি আমরা রেস্তোঁরার স্বাদ থেকে বঞ্চিত হব? নিশ্চয় নয়। বিশেষ করে দোকান পাট খুলে যাওয়ায় যখন সব উপকরণ পাওয়াই যাচ্ছে তখন হয়েই যাকনা ঘরেই রেস্তোঁরা।
আজ আমরা মেনু হিসেবে বেছে নিলাম “কড়াই পনির ও তন্দুরি রুটি”। যার উপকরন গুলো খুব সহজেই বাড়িতে মজুদ থাকে। আসুন আজ আমরা শিখে নেই, কি ভাবে তৈরী করবো।
কড়াই পানির ও তান্দুরি রুটির উপকরন হিসাবে আমাদের লাগছে পানির ২৫০গ্রাম, বড়ো আকারের ৩টি পেঁয়াজ, রসুন ৩থেকে ৪কোয়া, ছোট এক টুকরো আদা, টমেটো ৩টি, ক্যাপসিকাম ১টি, কিছু শুকনো মশলা যেমন, গোটা ধোনে ১চামচ, গোটা মরিচ, তেজ পাতা ২টি , শুকনো লংকা ২টি, রিফাইন তেল, সামান্য বাটার।
তান্দুরি রুটি র জন্য আমরা নেব ৫০০গ্রাম ময়দা ,২০০গ্রাম টক দই, সাদা তেল ১চামচ, পরিমান মতো লবন,গোটা কালো জীরে।
প্রণালী : প্রথমে ময়ান হিসেবে এক চামচ রিফাইন তেল,ও লবন, দই, অল্প খাবার সোডা একসঙ্গে মিশেয়ে মেখে নিতে হবে, প্রয়োজনে একটু জল দেওয়া যেতে পারে. ময়দার ডুও বা মন্ডটি তৈরি হয়ে গেলে চাপা দিয়ে ১ঘন্টা রেখে দিয়ে এরপর আমরা কড়াই পানির টা বানিয়ে নেবো।
পনির কে টুকরো করে কেটে একটু রসুন র জুস র রেড চিলি,মাখিয়ে ১০মিনিট রাখার পর সাদা তেলে হালকা ফ্র্যাই করে নেবো। তারপর পনির র শুকনো মশলা গুলো কে শুকনো কড়াই এ অল্প নেড়ে নিয়ে মিক্সি তে গুঁড়ো করে নেবো। এরপর ১টি পেঁয়াজ, একটি ক্যাপসিকাম চৌকো করে কেটে ২চামচ রিফাইন তেলে হালকা করে ভেজে সরিয়ে রাখবো। এরপর কড়াইয়ে ২চামচ তেল দিয়ে তাতে গোটা রসুন কোয়া,আদার টুকরো, পেঁয়াজ কুচো, টমেটো কুচো, পরিমান মতো লবন দিয়ে হালকা ভেজে নিয়ে, শুকনো গ্রাইন্ডের এ পেস্ট করে নিতে হবে।
গ্রাইন্ডার না থাকলে বাটনাবাটায় বেটে একটু জল দিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এরপর কড়াইয়ে ১ চামচ বাটার দেবো, গরম হলে ওই পেস্টটি কড়াই এ ঢেলে দিয়ে শুকনো গুঁড়ো করা মশলা গুলি মিশেয়ে দেবো। গ্রেভি যখন ফুটবে তখন প্রথমে ভেজে রাখা পেঁয়াজ ও ক্যাপসিকাম গুলি দিয়ে দেবো, পরে পনির গুলি মিশেয়ে দেবো। রান্না হয়ে গেলে বাটার বা ফ্রেশ ক্রিম দিয়ে নামিয়ে দিতে হবে। তৈরি হয়ে গেলো মশলাদার কড়াই পনির।
প্রনালী ২: আমরা ময়দার মন্ডটি কে লেচি বানিয়ে চাকি র ওপর রেখে সামান্য কালো জিরা ছড়িয়ে লম্বাটে করে বেলে নেবো। তাওয়া গরম হলে রুটির একদিক প্রথমে সেঁকে দেবো , তারপর তাওয়াটি উল্টো করে গ্যাসের ওপর রেখে রুটির যে দিকটা সেঁকা হয়নি সেই দিকে হালকা জল বুলিয়ে নিয়ে গরম হয়ে যাওয়া উল্টো তাওয়ায় সেঁকে নেবো। এবার দেখবেন রুটি ফুলে উঠেছে আর লালচে ভাব এসেছে অবিকল রেঁস্তোরার মতই। এরপর বাটার লাগিয়ে গরম গরম পরিবেশন করবো। কাজেই খুব সহজেই রেঁস্তোরার খাবার বাড়িতে বানিয়ে নিন।
এবার আরেকটা কথা, রেঁস্তোরা মানেই কিন্তু শুধু তার খাবার নয়, পরিবেশটাও। আপনি চাইলে ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে শুধু একটা নাইট বাল্ব জ্বালিয়ে দিন। এরপর টেবিলে মোমবাতি জ্বালিয়ে আপনি ক্যান্ডল ডিনারও সেরে নিতে পারেন। কী! হল না কিনা রেঁস্তোরার স্বাদ।