ওয়েব ডেস্ক : আমফান আর তার ৫দিনের মাথায় ফের ঝড়বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিনবঙ্গ। কিন্তু মাত্র কয়েকদিন আগে হয়ে যাওয়া ২দফার সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরেও তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে পুরো দক্ষিনবঙ্গ। গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আর্দ্রতা যা আরও অসহনীয় করে তুলেছে পরিস্থিতিকে। আইআইটি খড়গপুরের ক্যাম্পাস ওয়েদার রিপোর্ট অনুযায়ী রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি। গরমের এই তীব্রতার সঙ্গী হয়েছে বাতাসে ৮০% জলীয় বাষ্পের পরিমান। এদিন খড়গপুরে বাতাস বয়েছে মাত্র ৩কিলোমিটার বেগে। খড়গপুর ও মেদিনীপুরের আকাশে অবশ্য এদিন উঁকি দিতে গেছে সাদা মেঘের দলকে। আর এসবের মধ্যেই হওয়া অফিস পাঠিয়েছে সুসংবাদ। আগামী ৫ দিন ধরেই খড়গপুর মেদিনীপুর সহ সারা দক্ষিনবঙ্গ জুড়েই দাপাতে চলেছে কালবৈশাখী।
হাওয়া অফিস অনেকটা ক্যালেন্ডারের মতই সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার আগামী ৪-৫ দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছে সঙ্গে বৃষ্টিরও। সেই পূর্বাভাস অনু্যায়ী ১ লা জুন (সোমবার)- ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২ রা জুন (মঙ্গলবার)- ঘন্টায় ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বইতে পারে কালবৈশাখী। সেই সাথে চলবে বৃষ্টি। ৩ রা ও ৪ঠা জুনও ঘণ্টায় প্রায় ৩০- ৪০ কিমি বেগে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে কি এটাই প্রাক বর্ষার ইঙ্গিত?
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এমনিতেই আমফানের পর থেকেই শক্তিশালী হয়েছে মৌসুমী বায়ু। এর জেরে বাতাসে বাতাসে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়েছে। ফলে থেকে থেকেই ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তারওপর ইতিমধ্যেই একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ থেকে নাগাল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। এর জেরে বিহার ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে এই নিম্ন অক্ষরেখাটি গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়।
অন্যদিকে ইতিমধ্যেই আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। ফলে কালবৈশাখীকেই প্রাক বর্ষার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যান্য বছর সাধারণত জুন মাসের শুরুতে গরম থাকে। কিন্তু এবছর আমফানের জেরে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হওয়ায় মাঝে মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে চলছে কালবৈশাখী। সেই সাথে চলছে বৃষ্টি। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর কিছুটা হলেও গরম থেকে রেহাই পাবে বঙ্গবাসী। আর সব ঠিকঠাক থাকলে ১২ জুনই বাংলায় ঢুকে যেতে পারে বর্ষা।