নিজস্ব সংবাদদাতা: শতাব্দীর ফিকে চাঁদ এখন লকডাউনের আকাশে। একেই হতদরিদ্র পরিবার জীবন তায় দু’মাস কাজ নেই নুন আনতে পান্তা ফুরানো জীবনে।তবুও খুশির ঈদ। যে জীবনে নিত্য রোজা যাপন সে জীবনও আজ রোজা ভাঙার খুশিতে মেতে ওঠে। সেই খুশির প্রদীপের সলতেটা উসকে দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গ্রামীন খড়গপুরের গোকুলপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক সুমন কল্যান ধাড়া। সোমবার খুশির ঈদকে পড়শি গ্রামগুলির দরিদ্র মুসলিম পরিবারে পৌঁছে দিতে ঈদের সওগাত বিলি করলেন বেশকিছু মুসলিম পরিবারে। পাশাপাশি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কয়েকটি আদিবাসী জনজাতি পরিবারেও।
সুমন এদিন সাহায্য করেছেন তাঁর বসতি লাগোয়া পৃথিমপুর, বহড়াপাট, আশাপুর, কুশমাবাগ,কামারপাড়া ও গোকুলপুর গ্রাম মিলে সর্বমোট ২২৫ টি দুঃস্থ আদিবাসী ও সহায়সম্বলহীন মুসলিম বিধবাদের হাতে ১২ টি করে নিত্যসামগ্রী তুলে দিয়ে। অবশ্য লকডাউন পর্বে সুমনের এই উদ্যোগ নতুন নয় এর আগেও দু’দফায় ১৪২ টি পরিবারকে সাহায্য করেছেন এভাবেই। সুমনের এই ১২টি প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকায় রয়েছে পরিবার পিছু পরিবার পিছু বারোটি বরাদ্দকৃত দ্রব্যসামগ্রী: ৫কেজি চাল আর আলু, পেঁয়াজ, ডাল, সর্ষের তেল, সয়াবিন বড়ি, বিস্কুট, শালিমার লঙ্কা ও হলুদ গুঁড়ো, লবন প্যাকেট-১টি, সাবান এবং ডিটারজেন্ট পাউডার।
সুমন তাঁর প্রথাগত পাঠ নিয়েছেন বেলুড় ও নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে সঙ্গে সমাজ প্রেমের নিবিড় পাঠও। আর সেই সহজ পাঠই তাঁকে শিখিয়েছে বহুজন হিতায়চ। সতীর্থ, সহকর্মী,প্রাক্তনী ও অধ্যাপক ও নিকট মানুষদের সাহায্য কে একত্রিত করে গড়ে তুলেছেন একটি উদ্যোগ SIMPATICO, যার বাংলা সমমনস্ক। সেই সমমনস্কতারই সমব্যথী এই প্রয়াস। সুমনের আজকের উদ্যোগে সামিল ছিল মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। করোনা ক্রান্তিকালে তাঁরা বিলি করেছেন করোনার সাথে লড়াই করার জন্য শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ওষুধ আর্সেনিক এলবাম-৩০। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং অধ্যক্ষ ডাক্তার শ্রীমন্ত সাহা।