Homeআন্তর্জাতিকদুঃসাহসিক খেলায় চুম্বনের ছবি পোষ্ট করে ইরানে গ্রেপ্তার জনপ্রিয় পার্কো খেলোয়াড়

দুঃসাহসিক খেলায় চুম্বনের ছবি পোষ্ট করে ইরানে গ্রেপ্তার জনপ্রিয় পার্কো খেলোয়াড়

নিজস্ব সংবাদদাতা: নয়ের দশকের শেষে ফ্রান্সে জন্ম নেওয়া এক চরম আ্যডভেঞ্চার স্পোর্টসের নাম পার্কো। পাহাড়ের শিখর থেকে হাজার হাজার মিটার নিচে জলপ্রপাত কিংবা দুটি সুউচ্চ ভবনের এক প্রান্ত থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার মৃত্যুকে ছুঁয়ে যাওয়া এই খেলা এখন আর শুধু ফ্রান্সই নয় ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বেই। এরকমই এক ঝুঁকি পূর্ন খেলায় অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক ইরানি জনপ্রিয় পার্কো খেলোয়াড় আলিরেজা জাপালঘি ও তাঁর এক মহিলা সহ খেলোয়াড়।

যদিও তেহরানের পুলিশ জানিয়েছে, খেলার জন্য নয় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইরানের অশ্লীলতা বিরোধী আইন অনুসারে। ঘটনায় অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বইছে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে।
আলিরেজা তাঁর ইন্সট্রাগ্রামে যে ভিডিওটি পোষ্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, সুউচ্চ বিল্ডিংয়ের ছাদ। ঠিক নিচেই ওঁত পেতে রয়েছে মৃত্যু। এক পা এদিক থেকে ওদিক হলেই সব শেষ। ঠিক এমনই দুর্গম জায়গায় বসে পরস্পরের ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছেন দুই পার্কোর অ্যাথলিট। আর যুগলের সেই মুহূর্তকে লেন্সবন্দি করেছেন চিত্রগ্রাহক। কিন্তু ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিপাকে পড়েছেন আলিরেজা ও তাঁর সঙ্গিনী। অশালীন ছবি পোস্টের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের।

পার্কোর তেহরানেও বেশ ভালই জনপ্রিয়। আর আরও জনপ্রিয় আলিরেজা। তাঁর ইন্সট্রাগ্রামে ১৩লক্ষ ৩ হাজার ফলওয়ার্স রয়েছে। তাঁদের জন্যই আলিরেজা মাঝে মধ্যেই এই ভয়ঙ্কর ছবি বা ভিডিও পোষ্ট করেন যা নিমেষেই লক্ষ কোটি ভাইরাল হয়ে যায়। আলিরেজার পেজে সম্প্রতি পোষ্ট করা এই ভিডিওতে দেখা যায়, কীভাবে ছাদের পাঁচিল থেকে শূন্যে পা ঝুলিয়ে ভয়ংকর পজিশনে বসে চুম্বনরত যুগল। ছবিগুলি পোস্ট করার পর থেকে অনেকেই তাঁদের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু দেশের আইনের চোখে তাঁরা হয়ে উঠেছেন ‘ভিলেন’। ধর্ম ও সংস্কৃতিকে তোয়াক্কা না করে এমন ছবি পোষ্ট করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে। রাজধানীর পুলিশ প্রধান হোসেন রহিমী বলেন, “তেহরানের সাইবার পুলিশই ওঁদের গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা যে অশালীন আচরণ করেছেন, তার নিয়ম বিরুদ্ধ। আমাদের আশা আদালতই এঁদের ন্যায় বিচার করবে।”

উল্লেখ্য ইরানের আইন অনুসারে সে দেশের মেয়েরা প্রকাশ্যে কেবলমাত্র মুখমন্ডল ও হাতই প্রদর্শন করতে পারে তাও আবার প্রথাসম্মত পোশাক পরেই। তাই তেহরানের সাইবার ক্রাইম আইন অনুসারে এই ছবি দন্ডনীয় অপরাধ। আলিরেজার ভাই তাঁর নিজের ইন্সট্রাগ্রামে পোষ্ট করে জানান যে সোমবারই রহস্যময় ফোন কল আসছিল আলিরেজার কাছে পরের দিনই পুলিশ এসে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরান পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আলিরেজার ভক্তদের প্রশ্ন, দেশের অর্থনৈতিক অপরাধ গুলির ক্ষেত্রে বিশেষ করে দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরতে পুলিশের এই তৎপরতা কোথায় থাকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular