নিজস্ব সংবাদদাতা: কাতারে কাতারে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকের দল। ফিরছেন তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, ব্যাঙ্গালুরু, তেলেঙ্গানা থেকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে। আবার মহারাষ্ট্র বা মুম্বাই, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা, ঝাড়খণ্ড ফিরছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে। এ রাজ্যের প্রায় ৬০ শতাংশ শ্রমিক ফিরছেন খড়গপুর হয়েই। এঁদের সামলানো, স্ক্রিনিং করা, নমুনা সংগ্ৰহ করা, খাওয়ানোর দায়িত্ব বর্তেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ওপরই। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয় মালদা, মুর্শিদাবাদ সহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের এই শ্রমিকদের বিভিন্ন কারনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে খড়গপুরে। এখান থেকেই বাসে করে বাড়ির পথে যাত্রা।
এই শ্রমিকদের জন্যই খড়গপুর চৌরঙ্গী মোড়ে আগামী দিনের জন্য গন হেঁসেল বা কমিউনিটি কিচেনের উদ্বোধন করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। রবিবার মালদা মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা প্রায় তিনশ পরিযায়ী শ্রমিকের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এই হেঁসেল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে খড়গপুর গ্রামীন থানার পুলিশ। পরিযায়ীরা এখানে খাওয়ার পর তাঁদের নিজ নিজ গন্তব্যর বাসে তুলে দিয়ে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ।
রবিবার গন হেঁসেলের সূচনা অনুষ্ঠানে দীনেশ কুমার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর মহকুমা শাসক বৈভব চৌধুরী, খড়্গপুরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ, লোকাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক আসিফ আহাম্মদ সানি সহ বিভিন্ন পুলিশের উচ্চ পদস্থ্ কর্মী গন। উপস্থিত আধিকারিক গন নিজেরা পরিযায়ী শ্রমিক দের খাবার পরিবেশন করেন।নিজেদের বসার জায়গা থেকে টেবিল ক্লথ তুলে দিয়ে সেখানেই জায়গা করে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ সুপার বলেন, ‘লকডাউন চলা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিদিন ৩০০-৬০০ পরিযায়ী শ্রমিকদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ ছবি: অচিন্ত্য ত্রিপাঠী