✒️কলমে: বিরূপাক্ষ পণ্ডা
কবিতাযাপন
———————-
তারপর থেকে কথা । কথার পিঠে কথা । কদমফুল। সবুজ ধানগাছে এই বৃষ্টি এই রোদ। ডিমের কুসুম।ভোরের পর শিশির ঘাসের উপর মরে । শিল্প সম্ভাবনা । মানুষই কর্ম-ধর্ম । শিশুর গালে ঠোঁট । সনাতন ভারত ।
দিনযাপন
—————– কেউ জানলো না দর্শন
শুনলো না বচন
আদিখ্যেতায় ভরে গেল
পরিচিত রতন ।
কাল পেরিয়ে মহাকাল
জ্বলছে মাথা পেট
সকলেই সঙ্কটজনক
হাসছে কর্পোরেট ।
বর্ণপরিচয়
——————– তুমি আছ বলেই এত সাহস
প্রবল ইচ্ছের সেতু রচনা করে
চলে যাচ্ছি পূর্ণিমায় ।
তুমি আছো বলেই এত প্রেম
ভবিষ্যতের সুখ ভেবে পাঠ করছি
নির্বাচিত গালিব ।
তুমি আছো বলেই আমি আছি
দোতারায় টান দিয়ে গাই
” জল পড়ে, পাতা নড়ে “।
স্বর্গ-নরক
—————- যখন আগুনে আগুন বাড়ায় হিংসার ঘি
তখন চাহিদামতো দুধ দেওয়া গাই
সিঁদুরে মেঘের মুখে দেয় ছাই ।
যখন জলে জল উত্তাল কান্নার মাঠ
তখন অযাচিত কালো ঝড়ে
শেয়াল শকুনে পাতায় সই ।
মহল
————- না । লাঞ্ছিত দৃশ্যপট নেই । হাহাকারও নেই
নেই মাংসভোজী কেউ
ওরা এখন বিবশ অপমানে
ক্রমশঃ দ্রিদিম্ দ্রিদিম্
উপভোগ্য মহুলের নির্যাস ।
হে অন্তর্যামী ! সামনে এসে দ্যাখো
অন্য এক পৃথিবীর নব পত্রপল্লব
অন্তর্লীন পাপ ধুয়ে দিচ্ছে
বিশুদ্ধ নিঃশ্বাসের মহল
ভালোবাসার শাল-পিয়াল ।