নিজস্ব সংবাদদাতা: উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো এ রাজ্যে নতুন কিছু নয় আর করোনা হলে তো নয়ই। ঝাড়গ্রামে যেমন ভাইয়ের জায়গায় দাদাকে করোনা হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা ঘটেছে নদিয়াতে তেমন একই নামের অন্যকে পাকড়াও করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে পুলিশ। এবার অন্য জেলার করোনা আক্রান্তের নাম ঢুকে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আর তাই নিয়ে নাস্তানাবুদ জেলা প্রশাসন। নাস্তানাবুদের আরও বড় কারন এই যে, ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেই দাঁতন ২ ব্লকেরই বামনসাই গ্রামের যেখানে ২৪ ঘন্টা আগেই এক করোনা আক্রান্ত ধরা চিহ্নিত হয়েছে।
রবিবার আইসিএমআর বা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চের ওয়েবসাইটে দেখা যায় বেলদা থানার অন্তর্গত দাঁতন ২ ব্লকের বামনসাই গ্রামের এক মহিলা কোভিড পজিটিভ। এই একই রিপোর্ট পাঠানো হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকেও। প্রামানিক পদবি ধারি ওই মহিলার খোঁজ চলে প্রথমে বামনসাই পরে দাঁতন ২ ব্লকের অন্য কোথাও আছে নাকি জানার জন্য। যেহেতু আইসিএমআর ওয়েবসাইট সরকার ছাড়াও অন্য বিভিন্ন সংগঠন যারা কোভিড নিয়ে কাজ করছেন তাঁরাও নজরে রাখেন তাই তাঁরাও বারবার খোঁজ নিতে ফোন করেন স্বাস্থ্যদপ্তরে। যেহেতু শনিবারই এই গ্রামের এক ক্যাব চালকের পজিটিভ হয়েছে তাই উৎকন্ঠার মাত্রা বাড়তে থাকে।
খোঁজ খবর নেওয়ার পর জেলা রাজ্যকে জানায় যে জেলায় সেরকম কাউকে পাওয়া যাচ্ছেনা। রাজ্যের তরফে ফের জেলাকে খুঁজতে বলে রাজ্যের তরফে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ নেওয়া হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের সেরকম কেউ ভর্তি আছে কিনা পাশাপাশি আইসিএমারকেও বলা হয় নমুনার তালিকা খুঁটিয়ে দেখতে। সন্ধ্যার পর রাজ্য জানায় গরমিল ধরা পড়েছে। আক্রান্ত মহিলা আসলে কলকাতার গিরিশ পার্ক এলাকার। এরপরই ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের।
এদিকে রবিবারই পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে বামনসাই গ্রাম। বাঁশ আর গার্ডরেল দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে প্রতিটি রাস্তা। কড়া পাহারায় পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার। নজরদারিতে পুরো গ্রাম। গ্রামের প্রতিটি পরিবারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। থার্মাল গান দিয়ে স্ক্যানিং করে দেখা হচ্ছে কারও অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আছে কিনা। রাস্তাগুলো স্যানিটাইজ করার জন্য আপতকালীন একটি দল কাজ করছেন। গ্রামের ওই আক্রান্ত পরিবারের চার সদস্যকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।