নিজস্ব সংবাদদাতা: কড়কড়ে নতুন নোট, ১০০ টাকার। হাটের দশ বারো জন ব্যবসায়ীর কাছে ছিল। সন্ধ্যের পর বেচাকেনার হিসাব মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক লেনদেন করতে গিয়ে দেখেন প্রথমে দুটি নোট এবং ক্রমে ক্রমে পাওয়া নোট গুলির নম্বর একই! এরপরই চক্ষু চড়কগাছ জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ীদের। সব নোটের নম্বর এক হয় কি করে? খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে নোট গুলি বাজেয়াপ্ত করার পর তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকাল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের শিকারপুরে। শিকারপুরে ফি সপ্তাহে হাট বসে। শুক্রবার তেমনই বসেছিলো সাপ্তাহিক হাট। এমনই তেই লকডাউনের বাজারে দোকানপাট বন্ধ তাই সপ্তাহান্তের হাটে ক্রেতা বিক্রেতা মিলিয়ে ভিড় ছিল জমজমাট। আশেপাশের গ্রাম এমনকি দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ ক্ষেতের শাক সবজি, নিজেদের বানানো ধামা কুলো নিয়ে ভিড় করে। ক্রেতার দলও ছিলো যথেষ্ট পরিমানে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যাচ্ছে দুপুর বেলার দিকে বাইকে চেপে হাটে আসে দুই যুবক। বেশ কিছু দোকানে গিয়ে দশ বা কুড়ি টাকার জিনিস নিয়ে ১০০ টাকার নোট দিয়ে বাকী টাকা ফেরত নেয়। নতুন নোট দেখে প্রথমে কারো সন্দেহ হয়নি এগুলি জাল নোট হতে পারে। হাট ভাঙার মুখে ব্যবসায়ীরা হিসাবপত্র ও নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক কিছু লেনদেন করতে গিয়ে দোকানদারেরা দেখেন একাধিক দোকান থেকে মিলছে নতুন ১০০ টাকার নোট যার নম্বর একই। এরপর হাটে জাল নোটের আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে হাটে যায় বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিশ। নোট গুলি উদ্ধার করে তারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা আজিজ আলম নামে এক ব্যাবসায়ী জানান, আমাদের শিকারপুর হাটে আজ অনেকগুলো একই নম্বরের নোট উদ্ধার হয়েছে। নতুন একশো টাকার নোট দেখে কারো সন্দেহ হয়নি। এরপর দেখা যায় একই নম্বরের একাধিক নোট। তাই আমাদের ধারনা এই নোট গুলি জাল নোট। হাটে কে এসে এই জাল নোট ছড়িয়ে গেলো তা পুলিশ তদন্ত করুক। ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার অভিষেক মোদী জানান নোট উদ্ধার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এগুলি জাল নোট কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।
ব্যবসায়ীদের বর্ননা মত দুই যুবকের কথা ও বাইকের রঙ জানিয়ে আশেপাশের থানা গুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে আরও কোথাও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা।