নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার কালবৈশাখী প্রবল বেগে আছড়ে পড়ল গভীর রাতে । আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে গতিবেগ ছিল অন্তত ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। কালবৈশাখীর দাপটে মঙ্গলবার রাতভর প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হয়েছে বৃষ্টিও। বুধবার রাত তিনটে নাগাদ শুরু করে প্রায় ৩০মিনিট স্থায়ী হয়েছিল ঝড় ও বৃষ্টি যদিও তীব্র ঝড় স্থায়ী হয়েছিল কয়েক মিনিট। খড়গপুর, মেদিনীপুর, ঘাটাল , গড়বেতা, চন্দ্রকোনা সর্বত্রই সমানতালে এই কালবৈশাখীর প্রকোপ লক্ষ্য করা গেছে। এদিন সকালেও মেঘ হয়ে আছে আকাশ ভরে, রয়েছে তীব্র আর্দ্রতা ফলে ফের ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সমগ্র দক্ষিনবঙ্গ এমনকি কলকাতাতেও সপ্তাহ জুড়ে এমনই আবহাওয়া থাকবে। চলবে ঝোড়ো হাওয়া। কোথাও কোথাও হতে পারে বজ্রবিদ্যৎ-সহ বৃষ্টিও। এমনটাই জানা যাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে।
বৈশাখের শুরু থেকেই ঝড় ও বৃষ্টির কবলে খড়গপুর মেদিনীপুর। সোমবার সন্ধ্যায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছিল। রবিবার বাদ দিলে আগের চারদিন কালবৈশাখীর দাপট দেখা গিয়েছে সঙ্গে দোসর হয়েছিল ঘূর্ণাবর্ত। তবে মঙ্গলবার রাত তিনটে নাগাদ কলকাতায় আছড়ে পড়়া কালবৈশাখীর দাপট ছিল এই মরসুমে সব থেকে বেশি। ঘণ্টায় ৭০ কিমি গতির সঙ্গে ৩ মিনিটের বেশি সময় ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে শহরে। কয়েকটি জায়গায় গাছও পড়েছে। এ দিন সকালেও আকাশ মেঘলা। মাঝেমধ্যে হবে বৃষ্টিও। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দু’টি নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাস্প ঢুকছে রাজ্যের দিকে। ফলে ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্তও অবস্থান করেছে।
শনিবার পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব কমবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তার পর কিছুটা কমবে বৃষ্টির প্রভাব। লাগাতার বৃষ্টির প্রভাবে বৈশাখের শেষেও সে ভাববে গরম পড়েনি। তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিনবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ডিগ্রি কম। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৪২.৬ মিলিমিটার। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান ৬৯ %। আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাস ওয়েদার অনুযায়ী বেলা ২টা নাগাদ ফের সক্রিয় হতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘ। বুধবার সকাল থেকেই তীব্র ভ্যাপসা গরমে দক্ষিনবঙ্গ।