নিজস্ব সংবাদদাতা: লক ডাউনে টানা আটকে ছিলেন এরা। মুর্শিদাবাদের লালগোলা ,বহরমপুর, সাগড়দিঘি সহ বিভিন্ন থানা এলাকার প্রায় ৪৫০ জন রাজমিস্ত্রি, শ্রমিকরা নির্মাণকার্যের জন্য এসে ছিলেন গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের আলমপুর, গোপীবল্লভপুর, সারিয়া সহ ৭ টি গ্রামপঞ্চায়তের বিভিন্ন এলাকায়। এলাকারই বিভিন্ন ঠিকাদারের অধীনে ব্যক্তিগত মালিকানার ঘর বাড়ি নির্মানের কাজ করতেন এঁরা।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে যায় লকডাউন। করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত যানবাহন। বন্ধ হয়ে যায় বাস ট্রেন সহ সমস্ত গন পরিবহন। আর তারই ফলে বন্ধ হয়ে যায় বাড়ি ফেরা। এদিকে লক ডাউনের কারনে নির্মাণ কাজও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ উপার্জন। এতদিন ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগেই চলছিল তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা এবার তাঁদের বাড়ি ফেরারও ব্যবস্থা করল গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসন। সোমবার ৮ টি সরকারি বাস ছাতিনাশোল এবং গোপীবল্লভপুর থেকে মোট ৩০০ জন শ্রমিককে নিয়ে বেলা ১২ টার সময় মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।এই সমস্ত শ্রমিকরা এদিন বাসে মুর্শিদাবাদ পাঠানোর আগে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতি শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়দীপ মাহাত এর নেতৃত্বে।
অন্যদিকে পুলিশ কর্মীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে সম্পুর্ন নজরদারির মধ্য দিয়ে তাদের নির্দিষ্ট বাসে তোলেন।ঘরে ফেরার সুযোগ পেয়ে রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান আজফারুল হক এবং রফিকুল ইসলাম এর মতো আটকে পড়া নির্মাণ শ্রমিকরা।
জানা গেছে আপাতত শ্রমিকদের যে যে থানা এলাকায় বাড়ি সেই থানায় পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানা তাঁদের আরেক দফা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করবে। স্থানীয় কিছু জটিলতার কারনে এখনো থেকে যাওয়া বাকি ১৫০ শ্রমিককে কিভাবে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া যায় তাও চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে প্রশাসন।