ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তাদের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বন্ধ হওয়ার নামই নিচ্ছে না তার জন্য এবার ভারত সরকার লকডাউনের সময়সীমা আরও ১৪ দিন বাড়াল। এই ভাইরাস এর মোকাবিলা করতে হলে স্যোসাল ডিসটেন্সসিং মেনে চলতে হবে। তাই দেশের সমস্ত ই-কমার্স সংস্থা তাদের পরিষেবা বন্ধ রেখেছে একমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়া কোনো কিছুরই ডেলিভারি করা হচ্ছে না। এবার ভারতের সবচেয়ে বড় দুটি ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট তাদের পরিষেবা চালু করতে চলেছে অ্যামাজন ফ্লিপকার্ট থেকে এবার আপনি যে কোনো প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন।
তবে এই সংস্থা দুটি জানিয়েছে এই পরিষেবাটি একমাত্র সেসব এলাকা গুলির জন্য যেসব এলাকা গ্ৰিন ও ওরেঞ্জ জোন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে অর্থাৎ এলাকাগুলিতে এখনো করোনা থাবা বসাতে পারেনি সেসব এলাকাগুলিতে সমস্ত জিনিসের ডেলিভারি করবে এই দুটি ই-কমার্স সংস্থা।
দরকার জিনিসপত্র থেকে শুরু করে মোবাইল, টিভি, পাখা, ল্যাপটপ সহ সমস্ত প্রোডাক্ট এর ডেলিভারি শুরু করবে। তৃতীয় বারের লকডাউনে গ্রীন ও ও রেঞ্জ জন এলাকাগুলিতে বেশকিছু অর্থনৌতিক কাজকর্ম চালু করতে চাই কেন্দ্র তাই ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে ডেলিভারি করার ছাড় দিয়েছে। তবে সমস্ত ডেলিভারি ম্যানদেরকে সোস্যাল ডিসটেন্সিং মেনে চলতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা অনুযায়ী কনটেইনমেন্ট জোন ও রেড জোনে লকডাউনে বেশি কড়াকড়ি। সেখানে এখনও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছড়া কিছু ডেলিভারি করা যাবে না। দিল্লি, মুম্বই ছাড়া আরও বেশ কিছু শহর রয়েছে যেগুলো রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। এইসব শহররে গ্রাহকরা এই সুবিধাটি ওঠাতে পারবেন না।
ভারতের আ্যমাজনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন কেন্দ্র সরকার আমাদেরকে গ্ৰিন ও অরেঞ্জ জোন এলাকা গুলিতে ডেলিভারি করার ছাড় দিয়েছে তাই আমরা এটিকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের পরিষেবা চালু করার কথা ভাবছি। এছাড়াও এর ফলে অসংখ্য ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা শুরু করতে পারবে।
পশ্চিমবঙ্গের কোন জেলা কোন জোনে দেখে নিন
গ্রীন জোন : বাঁকুড়া, বীরভূম, কোচবিহার, পুরুলিয়া, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, ঝাড়গ্রাম এবং আলিপুরদুয়ার।
অরেঞ্জ জোন : পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হুগলি।
রেড জোন : পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা,উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কলকাতা।