নিজস্ব সংবাদদাতা: মদের দোকান বন্ধ থাকায় গত ৩৭দিনে ২০ হাজার টাকার রাজস্ব লোকসান করেছে রাজ্য গুলি। একে লকডাউনে রাজস্ব ঘাটতির পরিমান চূড়ান্ত হয়েছে তার ওপর করোনা মোকাবিলায় ব্যপক খরচ তাই কেন্দ্র সরকার চিন্তা ভাবনা করে কিছু শর্ত সাপেক্ষে মদের দোকান খোলার জন্য রাজ্য গুলিকে অনুমতি দিল।
যে কারনে তৃতীয় দফায় ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ালেও এই বার মদ ও তামাকজাত দ্রব্যের দোকান খোলা যাবে।
তবে সব জায়গায় দোকান খোলা যাবে না, গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনগুলোতেই দোকান খোলা যাবে। এ ছাড়াও রেড জোনের মধ্যে কনটেনমেন্ট (অতি সংক্রমিত)এলাকার বাইরে খুলে রাখা যাবে দোকান। তবে সবটাই শর্ত সাপেক্ষে। এরফলে কিছুটা হলেও ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারবে রাজ্যগুলি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শুক্রবার যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, অত্যাবশ্যক পণ্যের বাইরে থাকা জিনিসপত্রের দোকানও খোলা যাবে। যদি তা শপিং মল বা শপিং কমপ্লেক্সের বাইরে থাকে। এই নির্দেশিকা পাওয়ার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি মদের দোকানও খোলা যাবে ওই সমস্ত জায়গায়?
গত কয়েক সপ্তাহে তা নিয়ে একাধিক বার কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয় অ্যালকোহলজাত পানীয় উৎপাদন সংগঠন। দোকান খোলার অনুমতি চায় তারা। গত সপ্তাহে এই নিয়ে রাজ্যগুলিকেও চিঠি দেয় তারা। তাতে বলা হয়, লকডাউনের জেরে গত ২৪ মার্চ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে রাজ্যগুলির।
সেই থেকেই লকডাউনের মধ্যে মদের দোকান খোলা যায় কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। মদের দোকান খোলা নিয়ে প্রকাশ্যে সওয়াল করতে দেখা যায় মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী রাজেশ টোপীকেও। তার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
তবে ওই সব দোকান খুললেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে মালিকদের। দোকানের বাইরে যাঁরা লাইন দেবেন, তাঁদের প্রত্যেকের মধ্যে ৬ ফুট করে ব্যবধান থাকতে হবে। একসময়ে, একই সঙ্গে পাঁচ জনের বেশি দোকানে লাইনও দেওয়া যাবে না।
পাশাপাশি প্রকাশ্যে কোনও ভাবেই মদ, গুটকা ও তামাক জাত পদার্থ সেবন করা যাবেনা। রাস্তায় বা কোনও খোলা জায়গায় থুতু ফেলা যাবেনা। উল্লেখ্য থুতু ফেললে জরিমানার কথা আগেই ঘোষনা করেছিল সরকার। এছাড়া পানশালা বা বারে মদ খেতে গেলেও নির্দিষ্ট দুরত্ব রেখেই বাসার ব্যবস্থা করতে হবে।