নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশের সমস্ত রাজ্যগুলির রাজধানী বা প্রধান শহর বা মহানগরের মতই পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা ও তার পাশের নগর গুলিকে ঘিরেই এ রাজ্যের করোনা চক্র আবর্তিত হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের যেমন মুম্বাই আর পুনে, দিল্লির যেমন নয়া দিল্লি কিংবা তামিলনাড়ুর যেমন চেন্নাই পশ্চিমবাংলার তেমনই কলকাতা ও তার কোলের ২ জেলা হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনাতেই রাজ্যের মোট আক্রান্তের ৮৮ শতাংশই এই তিন জেলার। বাকি জেলাগুলির মোট আক্রান্ত ১২ শতাংশ।
বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচবি রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, গতকাল পর্যন্ত রাজ্যে করোনা অ্যাক্টিভের সংখ্যা ছিল ৫২২। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৫ জন। নতুন আক্রান্ত ৩৩ জন। অর্থাৎ, এখন রাজ্যে মোট কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫০। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি। নবান্নের তরফে প্রতিদিন যে তথ্য দেওয়া হয় তাতে কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে। মঙ্গলবার মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১১৮০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিন সেই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১৩৯৭টি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৬২০টি।
এদিন মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, এখন সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৪৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৪১৫ জন। নবান্নের তথ্য বলছে, রাজ্যে মোট আক্রান্তের ৬৪ শতাংশ পুরুষ আর ৩৬ শতাংশ মহিলা। এটাও দেখা গিয়েছে যে আক্রান্তদের ৫০ শতাংশেরই বয়স ৪৫ এর বেশি। এই তথ্য জানিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, “রাজ্যবাসীর কাছে অনুরোধ যাঁদের বয়স বেশি এবং কোনও রকম শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে তাঁরা একেবারেই বাড়ি থেকে বের হবেন না।”
রাজ্য যে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরি রয়েছে তা বলতে গিয়ে এদিন রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, রাজ্যে ৬৬টি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে। করোনা চিকিৎসার জন্য ৮ হাজার বেড রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ শতাংশ বেডই রয়েছে কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায়। স্বাভাবিক কারনেই ওই তিন জেলাকে ঘিরে রাজ্যের প্রস্তুতি একটু বেশিই নেওয়া হচ্ছে।