নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা সতর্কতায় চলছে লকডাউন। আর সেই লকডাউনে থমকে থাকা দেশবাসীকে খাদ্য যোগাতে খুলে দিতে হয়েছে শষ্য ভাণ্ডার। বিপর্যয় মোকাবিলায় দেশের ওই শষ্য ভান্ডার ফের পূর্ণ করতে হবে। কারন ফের যদি কোনও কারনে আবার কোনও বিপর্যয় আসে তবে সেই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে ফের প্রয়োজন হবে শষ্যভান্ডারের। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবছরই খরা বন্যা লেগেই থাকে আর পাশাপাশি গরীব মানু্ষের জন্য ফি সপ্তাহ রেশন তো লেগেই আছে। তাই দ্রুত ভরাট করতে হবে দেশের শুন্য গোলা। কিন্তু বিপদের আরেক ঘন্টা চিন্তা বাড়িয়েছে দেশের। খবর এসেছে দুধর্ষ বর্গীর দল ধেয়ে আসছে পালে পালে।
একটি সর্বভারতীয় দৈনিকের খবরের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, গ্রীষ্মেই খাদ্য লুটতে ভারতে হানা দেবে পতঙ্গ দস্যুরা। ভারত মহাসাগর পার করে ভারতের কৃষিজমিতে সরাসরি আঘাত হানতে পারে এই পঙ্গপালের দল। আদপে পঙ্গপাল শব্দটি হিংস্র না হলেও দল বেঁধে এরা যে নিমেষে সাবাড় করতে পারে কয়েক হাজার একর কৃষিজমি, তার প্রমাণ আগেই রয়েছে আফ্রিকা ও ইয়েমেনে। রাস্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা আগেই জানিয়েছে, এশিয়ার জন্যও এরা বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে। মরুদস্যুর এই দল একেবারে রণকৌশল সাজিয়েই হামলা হানতে চলেছে ভারতে। হর্ন অব আফ্রিকা থেকে যে একদল পঙ্গপাল ভারতে আসছিল, রাস্তায় তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও একদল। একদল কুয়েত, কাতার, পাকিস্তান পেরিয়ে ভারতে ঢুকবে পাঞ্জাব হয়ে। অপর দল ভারত মহাসাগর টপকে ভারতে এল বলে! পঙ্গপালের এই হামলার জেরে ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা সংকটে পড়তে পারে।
দেশজুড়ে চলছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন।দেশবাসী ঘরবন্দি।এত বিপর্যয়ের মাঝেই ঘূর্নিঝড়ের চোখ রাঙানি। এরপরেই আবার পঙ্গপালের দাপট। এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া।করোনার জেরে সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও দেখা দিয়েছে আর্থিক সঙ্কট।এইসবের মাঝেই পঙ্গপালের দল হানা দিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশ যখন চরম অর্থসঙ্কটে ভুগছে ঠিক সেইসময় যদি দানাশস্য পঙ্গপালে খেয়ে যায়, তাহলে দেখা দিতে পারে মহাসঙ্কট।
তাই নতুন করে উদ্ভুত এই সমস্যাকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছে না ভারত সরকার।