নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘আপনার রাজ্যে যত ওড়িশাবাসী আছে তাঁদের পর্যাপ্ত খাবার দিন, যা খরচ হচ্ছে জানাবেন, চেক লিখে দেবে ওড়িশা সরকার।’ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনে আটকে পড়া নিজের রাজ্যের মানুষদের হয়ে এমনই আবেদন করেছেন তিনি। বিজ্ঞাপনে নেই, নেই রাস্তায় নেমে জনপ্রিয়তার তালিকায় ওঠার তাগিদ। নিজের বাসভবনেই কোভিড ওয়ার রুম খুলে নিরন্তর সমস্ত আধিকারিকদের সঙ্গে সাতদিন চব্বিশ ঘন্টা যোগাযোগ রেখে চলেছেন, নিচ্ছেন প্রতি মুহূর্তের আপডেট। তাঁর নাম নবীন পট্টনায়ক, ওড়িশার মূখ্যমন্ত্রী।
নাম নবীন হলেও বয়স হয়েছে যথেষ্টই কিন্তু রাজ্য পরিচালনায় নবীনতম প্রযুক্তির ব্যবহারে নবীনের চেয়েও নবীন। করোনা যুদ্ধে তাই তাঁর নবীন সংযোজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি শ্রেষ্ঠ সম্মান ঘোষনা। নবীন পট্টনায়কের সরকার ঘোষণা দিয়েছে করোনা চিকিৎসার সাথে যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ মারা গেলে তাদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে এবং ৫০ লক্ষের বীমার ব্যবস্থা করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ঘোষণা করেন, “করোনার বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধে রত। সেই যুদ্ধে সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ প্রাণ হারালে, তাদের পরিবারের জন্য সরকারের তরফ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হবে। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাদের শহিদের সম্মান দেওয়া হবে। তাঁদের এই অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে পরে একটি পুরস্কারেরও আয়োজন করা হবে। জাতীয় দিবসের দিনে সেই পুরস্কার বিতরণ করা হবে। মৃত স্বাস্থ্যকর্মীদের শেষকৃত্যও হবে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়।”
করোনা মোকাবেলায় নিযুক্ত চিকিৎসক স্বাস্থ্য কর্মীদের উদ্দেশ্যে নবীন পট্টনায়কের সরকারের এই ঘোষণার পরেই প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বব্যাপী। উল্লেখ্য এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল করোনা চিকিৎসায় নিযুক্তদের উদ্দেশ্যে ১ কোটি টাকার বিমা ঘোষণা করেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ লক্ষের বীমা ঘোষণা করেন। যদিও টাকার মাপকাঠিকে অতিক্রম করেই নবীনের এই ঘোষনা তাঁকে ভারত তো বটেই তারই সাথে বিশ্বের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। এমন ঘোষনা আর কোথাও হয়েছে বলে জানা নেই।