Homeএখন খবরমিড ডে মিলের চালের সাথে পড়ুয়াদের জন্য মাস্ক তুলে দিলেন শিক্ষক...

মিড ডে মিলের চালের সাথে পড়ুয়াদের জন্য মাস্ক তুলে দিলেন শিক্ষক শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও। এখন আর শুধুই হাত ধোয়া আর নির্দিষ্ট দুরত্ব রাখাটাই যথেষ্ট নয়। চিকিৎসক , বিশেষজ্ঞ আর সরকার বলছেন পরতে হবে মাস্ক। কিন্তু ধ্যাড়ধ্যাড়ে গোবিন্দপুরে কোথায় পাওয়া যাবে মাস্ক আর কেনারই পয়সা কোথায়? ১০০দিনের কাজের ওপর নির্ভর গাঁয়ের অধিকাংশ মানুষ। নুন আনতে পান্তা ফুরানো সংসারে আজ লকডাউনে বাড়া ভাতে ছাই। চালই জোটেনা যে সংসারে সেখানে আবার মাস্ক! সেই পরিবার গুলির পড়ুয়াদের জন্যই এবার মাস্ক তুলে দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্কুল।

কেশপুর থানার গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শিক্ষিকা আর শিক্ষাকর্মীদের নিজস্ব টাকায় গড়ে ওঠা করোনা তহবিল থেকেই এমন অভিনব উদ্যোগ। সোমবার ছিল সরকারের নির্ধারন করা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড-ডে-মিলের চাল ও আলু বিতরনের দিন। লকডাউনের কারনে স্কুল বন্ধ থাকার কারনে পড়ুয়াদের বাড়িতেই চাল ও আলু দেওয়ার সিদ্ধান্ত। কিন্তু তার থেকে আরও এক কদম এগিয়ে নিজেদেরই তৈরি করা ‘করোনা রিলিফ ফান্ড’য়ের সংগৃহীত অর্থে বিদ্যালয়ের ১১০০’র অধিক ছাত্র ছাত্রীর জন্য একটি মাস্ক ও একটি করে সাবান দেওয়া হয়।

এখানেই থেমে থাকেননি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার ১৫০ জন দু:স্থ অসহায় ব্যক্তিকে বিশেষ ত্রান বিতরণ করা হয় সোমবার। ত্রাণসামগ্রীতে সরষে তেল, সয়াবিন,সাবান, লবণ,লঙ্কা গুঁড়ো প্যাকেট, হলুদ গুঁড়ো প্যাকেট সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেশ চন্দ্র পড়িয়া জানান, ” পড়ুয়াদের মাস্ক দিয়ে তাঁদের সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়েছে। তারা মাস্ক ব্যবহার করলে অন্যরাও তাদের কাছ থেকে সচেতন হবে এবং নিজের মত করে নাক মুখ ঢাকার একটা উপায় বের করে নেবে নিজেদের মত করে। পাশাপাশি একটা বিদ্যালয় শুধুমাত্র নিজস্ব প্রাঙ্গনেই সীমাবদ্ধ নয়। তার আশেপাশের পরিবেশও তাকে ঘিরে থাকে। তাই পাশাপাশি থাকা বিপদগ্রস্থ পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি আমরা।”

বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন কিছুটা এগিয়ে রাখতে অনলাইন পাঠক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular