নিজস্ব সংবাদদাতা: বিপদ সীমার নিচে নামছেনা মহারাষ্ট্র। ১১৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩০০। আর তার মধ্যেই মুম্বাইয়ের অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ। ৭৭জন আক্রান্ত নিয়ে বানিজ্য নগরীতেই আক্রান্ত ২১২০ জন । অন্যদিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আবার কিছুটা বাড়ল। বুধবার বিকেল ৫টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল ৮২৬। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৫টা অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ১০৭৬।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮৩৫। মৃত্যু হয়েছে ৪৫২ জনের। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭৬৭ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভারতে এই মুহূর্তে করোনা অ্যাকটিভ ১১৬১৬ জন।
মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৪০। মধ্যপ্রদেশে ১৩০৮ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে সবথেকে বেশি ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ৫৭ জন। গুজরাত ও দিল্লিতে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বাকি রাজ্য যেমন তেলেঙ্গানা (১৮),পাঞ্জাব (১৩), কর্ণাটক (১৩),পশ্চিমবাংলা (১০), জম্মু কাশ্মীর (৪), উত্তর প্রদেশ (১৪) কেরালা (৩), ঝাড়খন্ড (২), অন্ধ্রপ্রদেশ (১৪) রাজস্থান (১১) হরিয়ানা (৩) তমিলনাডু (৫). এবং বিহার, মেঘালয়,ওড়িশা, আসাম, হিমাচল প্রদেশে ১জন করে মারা গেছে।
অন্য যে ৫ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেগুলি হল অরুণাচল প্রদেশে ১জন, মেঘালয়ে ৯ জন, ত্রিপুরাতে ২জন, ঝাড়খণ্ডে ২৯ জন ও অসমে ৩৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অসমে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। ঝাড়খণ্ডে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। মেঘালয়ে ১জনের মৃত্যু হয়েছে। ত্রিপুরাতে ১জন ও অসমে ৫জন সুস্থ হয়ে উঠেছে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে ৩,১৯,৪০০ জনের কোভিড-১৯ পরীক্ষা হয়েছে যার মধ্যে ২৮,৩৪০ জনের পরীক্ষা হয়েছে বৃহস্পতিবার। ২৩,৯৩২ টি পরীক্ষা আইসিএমআরের নিয়ন্ত্রিত ১৮৩ টি ল্যাবে এবং বাকি গুলি ৮০টি বেসরকারি ল্যাবে হয়েছে। শুধুমাত্র করানোর জন্যই দেশের ১, ৯১৯টি হাসপাতালে ১.৭৩ লক্ষ আইসোলেশন শয্যা ও ২১, ৮০০টি আইসিইউ সুবিধা যুক্ত শয্যা রয়েছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে।