নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রথমে লুকিয়ে চুরিয়ে পরে হোম ডেলিভারি আর এখন খোলাখুলি বিক্রি হচ্ছে মদ। শিকেয় উঠেছে করোনা সতর্কতা আর লকডাউন!রীতিমত গা ঘেঁষাঘেঁসি করেই মদ কিনছেন জনতা। ভিড় ভেঙে পড়েছে মদের দোকানগুলিতে। একটি নয়, মেদিনীপুর শহরের দু’দুটি মদের দোকানে এমনই দৃশ্য দেখা গেল মঙ্গলবার। মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কড়াকড়ি ভাবে লকডাউন মানতে হবে বলে কিন্তু কোথায় কী ? সবজি বা মাছ, ফুল বা পানের পর এবার খুল্লামখুল্লা বিক্রি হচ্ছে মদ। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে সরাসরি মদ বিক্রির কোনও নির্দেশিকা নেই। মদের হোমডেলিভারির সার্কুলার জারি করেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও গোপনে মদের দোকানগুলিকে হোম ডেলিভারি চালু করার কথা বলা হয়। এবার কি তবে সেই গোপন নির্দেশেই কাউন্টার খুলে মদ বিক্রি চালু হল ?
নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ থাকার কথা সমস্ত মদের দোকান। তবে সেই নির্দেশিকা কে তোয়াক্কা না করেই মেদিনীপুর শহরের রমরমিয়ে চলছে মদের ব্যবসা, হচ্ছে কালোবাজারিও। খোঁজ পেয়ে দলে দলে ভিড় করছে মানুষ। এমনই চিত্র ধরা পড়ল মেদিনীপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি সরকারি মদের দোকান ও কোতবাজার এলাকায় । মদ যে দোকান থেকে বিক্রি করতে হচ্ছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে দোকানের মালিক অজয় কুন্ডু। তার দাবি, গ্রাহকদের হেনস্থার জেরেই তাকে বাধ্য হয়ে দোকান থেকেই বিক্রি করতে হচ্ছে মদ। আসলে ঘটনা হল যে এত পরিমান হোম ডেলিভারির অর্ডার আসছে যে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন মদের দোকানে শুরু হয়েছে হোম ডেলিভারি সার্ভিস। বেশিরভাগ দোকানের সামনেই দেওয়া রয়েছে হোম ডেলিভারি নাম্বার। সেই নাম্বারে ফোন করলে বাড়িতে বসেই পাওয়া যাচ্ছে মদ।
তাহলে এক্ষেত্রে দোকান থেকে কেন বিক্রি করতে হচ্ছে মদ? দোকান মালিকের সাফাই, গ্রাহকদের হেনস্থার মুখে পরে বাধ্য হয়ে তাকে দোকান থেকে ডেলিভারি দিতে হচ্ছে ‘ফরেন লিকার’।
যদিও জমায়াতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। লাঠি উঁচিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় জামায়াতকে। কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় দোকানের মালিক কে। পাশাপাশি এদিন কোতোয়ালি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মদের দোকানে চালানো হয় অভিযান। তবে মানতে নারাজ জনতা। তাঁদের মতে পুলিশ আর আবগারী দপ্তরের প্রশ্রয় ছাড়া দোকানের মালিক দোকান খোলার সাহসই পেতে পারেনা।