নিজস্ব সংবাদদাতা: গুজরাট মহারাষ্ট্র ওড়িশার পথ ধরে এবার পশ্চিমবঙ্গও। জানিয়ে দিল বাড়ির বাইরে বেরুলেই এবার ঢাকতে হবে নাক আর মুখ। মূলতঃ নাক আর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে ডফলার বা শ্লেষ্মা, যা বাহিত হয়ে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ে যত্রতত্র। এক সময় শুধুই যাঁদের সর্দি কাশি হত তাঁদেরই বলা হত নাক আর মুখ ঢেকে রাখতে, মাস্ক পরতে। এখন কঠিন সময়, ক্রমশঃ গোষ্টি সংক্রমনের পথে দেশ তাই সুরক্ষার আরও মজবুত হওয়া দরকার। ইতিমধ্যেই ওড়িশা, মহারাষ্ট্র সহ অনেক রাজ্যই বাধ্যতামূলক করেছে মাস্ক। রবিবার সকালে এই একই ঘোষনা করেছিল গুজরাট । আর বিকালে সেই পথে পশ্চিমবঙ্গও । রবিবার থেকে রাজ্যের সর্বত্র বাড়ির বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে ‘মাস্ক’ পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এদিনই এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। সেই নিয়ম না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগে মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশিকায় বদল করে কেন্দ্র। শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত, স্বাস্থ্যকর্মীরা নন, বাইরে বের হলে সকলকেই মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয় কেন্দ্র সরকার। অভিযোগ উঠছে, বাজারে ক্লিনিকাল মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাড়িতে তৈরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দেয় কেন্দ্র সরকার। অ্যাডভাইজরিতে বলা হয়েছিল. যারা শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু শ্বাসকষ্টের ধাত রয়েছে, তাঁরা মুখ ঢেকে ঢেকে রাখুন। বিশেষত বাড়ির বাইরে বের হলে মুখ ঢাকার ব্যবস্থা করুন। সকলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এই পদক্ষেপ। তবে মাস্ক অনেক সময় পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। সেক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
বিশেষত, বাড়ির বাইরে বের হলেই মাস্কে মুখ-নাক ঢাকতে হবে বলে জানানো হয়। এমনকী সেই নিয়ম ভাঙলে জরিমানা, হাজতবাসের নিদানও দেওয়া হচ্ছে। এবার সেই পথেই হাঁটল রাজ্য সরকারও। বাড়ির বাইরে বেরোলে এবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করল রাজ্য। মাস্ক না পরে কেউ বাইরে বেরোলে পুলিশ তাঁকে বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারে। তবে মাস্ক মানেই যে এন ৯৫ বা সার্জিক্যাল মাস্ক হতে হবে তেমনটা নয়। সাধারণ পরিচ্ছন্ন কাপড়ের তৈরি মাস্ক হলেও চলবে। এমনকী গামছা , রুমাল বা ওড়না দিয়েও মুখ ঢাকা যেতে পারে। তবে মুখ নাক না ঢেকে বেরোলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে। নেওয়া হতে পারে আইনানুগ ব্যবস্থাও। যদিও গুজরাটের মত কোনও জরিমানার অঙ্ক ঘোষনা করা হয়নি।