নিজস্ব সংবাদদাতা: হটস্পটের তত্ত্ব উড়িয়েই দিলেন মূখ্যমন্ত্রী, বললেন সিল বলে কিছুই হচ্ছেনা আর হটস্পট বলে কিছু নেই যা হচ্ছে তাতে বাজার হাট খোলাই থাকবে! মানুষ জন বাজার করতেও পারবেন। মূখ্য সচিব বলেছিলেন সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। শনিবার সেই এলাকাগুলি সিল করার কাজও শুরু করেছে নবান্ন। রাজ্যে এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, হটস্পট বলে কিছু হচ্ছে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে শুধু বিশেষ নজরদারি চালাবে প্রশাসন।
শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ১০ টি জায়গা পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই এলাকাগুলোতে বাজার-দোকান সব বন্ধ থাকবে। এলাকার বাসিন্দারা কেউ বাড়ি থেকে বেরোবে পারবেন না। এমনকি বাইরে থেকে কেউ এলাকায় ঢুকতে পারবেন।খাবার-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্ৰী আবাসিকদের বাড়িতেই পৌঁছে দেবে সরকারের আধিকারিকরা।
কিন্তু শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের তথ্য সঠিক নয়। কোথাও সিল করা হচ্ছে না। কোনও বাড়ি বা মার্কেটে করোনা ধরা পড়লে সেই বাড়ি বা মার্কেট স্যানিটাইজ করা হবে। সেই জায়গাগুলোতে বিশেষভাবে নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এই বিশেষস্থানগুলিতে সাধারণের বাজার-হাট করতে কোনও সমস্যা হবে না। খোলা থাকবে মুদি দোকান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ লকডাউন আইনটা মানুন আপনারা। বিভ্রান্তি ছড়াবেন না।” মমতা আরও বলেন, ‘‘এত চিন্তা কেন? হটস্পটের বিষয়ে কেন আপনারা চিন্তা করছেন? হট এবং কুল নিয়ে চিন্তা করুন। হটস্পট বলে কিছু নেই।এটাকে মাইক্রো প্ল্যানিং অব দ্য গভর্নমেন্ট বলুন। ”
সাধারন মানু্ষের একটা অংশের বক্তব্য, এই সরকারের এটাই হল সমস্যা। পুলিশ বাড়ির বাইরে গেলেই পেটাচ্ছে আর মূখ্যমন্ত্রী পুলিশকে বলছেন, লকডাউনের নামে তাণ্ডব চালাবেন না! এরফলে হচ্ছেন মানুষ। তাঁরা ঠিক কী করবেন বুঝে পাচ্ছেন না । যদি বাজার হাট খোলাই থাকে তবে ভুক্তভোগী এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন হবে কী করে ?