নিজস্ব সংবাদদাতা: কোয়ারেন্টাইন! ভারতীয় জীবন যাত্রায় এক নতুন নাম। জগৎ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা এক জীবন, তাও আবার ১৪দিন! এই সময়ে সাধারন মানুষ তো দুরের কথা এই চাপ অনেকঅতি উচ্চ শিক্ষিত মানুষও নিতে পারেননা। ধারাবাহিক বিচ্ছিন্নতা নিয়ে আসে মারাত্মক অবসাদ যার পরিণতিতে মানসিক ভারসাম্যহীনতা আসতেও পারে। আর একথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগ কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের কাউন্সিলিং করার উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই মত আসানসোল সংলগ্ন কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রগুলিতে শুরু হল কাউন্সিলিং।
শুক্রবার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সপ্তশ্রী অধিকারী বর্ধমান মেডিকেল কলেজ থেকে মাইথন যুব আসবে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা ২৫ জন মানুষের কাউন্সিলিং শুরু করেন। সামজিক দুরত্বের নিয়ম মেনেই সবাইকে নির্দিষ্ট দুরত্বে তাঁদের দাঁড় করিয়ে শুরু হয় এই কাউন্সিলিং।
ডাক্তার সপ্তশ্রী অধিকারী জানান ৩রা এপ্রিল স্বাস্থ দপ্তর একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত কোয়ারেন্টাইন থাকা মানুষের মানসিক চিকিৎসা করার।কারণ এই সময় কোয়ারেন্টাইন থাকা
মানুষ ভয় পেয়ে যায় এবং নিজের মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।তাই আজ আমি মাইথন যুব আবাস,দেন্দুয়া ইসিএল রিজিনাল হাসপাতাল ও জামুড়িয়া একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা মানুষদের গিয়ে আমার তাদের মানসিক চিকিৎসা করি এখন তারা পুরোপুরি সুস্থ আছে।তাও আমি বলে গিয়েছি যদি কোনো চাপ হচ্ছে মনের মধ্যে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাতে।কিন্তু আমি এখন সবাইকে বলছি
অযথা ভয় পাবেন না।
এই সময় কোরোনা জাতীয় কোনো খবর টিভি তে দেখবেন না,সোশ্যাল মিডিয়া,ফেসবুক, হোয়াটসাপ যে মিথ্যা খবর এবং বিভ্রান্তিমূলক খবর যারা প্রচার করছে তা দেখবেন না।এই অনুরোধ আমি বাড়িতে বসে থাকা মানুষদের ও করছি।এই সময় সবাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান এবং সব সময় খুশিতে থাকুন ও অযথা বাড়ি থেকে বাইরে বার হবেন না।লকডাউন সবাই মেনে চুলন। একেকটি কেন্দ্রে প্রায় ১ঘন্টা ধরে চলে এই কাউন্সিলিং।
কাউন্সিলিংয়ে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ”কোয়ারেন্টাইনে থাকা যে কী অসম্ভব মানসিক চাপ তা যারা না থেকেছেন অনুভব করতে পারবেননা। প্রথম একটা দুটো দিন কোনও ভাবে কেটে যায় কিন্তু তারপর সময়টা ভয়ংকর হতে শুরু করে। সব সময় একটা মানসিক চাপ থাকে যে এই বুঝি আপনার করোনা পজিটিভ হল। এই কাউন্সিলিং থেকে মনের বল ফিরে পেলাম অনেকটাই।”